শ্রীমঙ্গলে বিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্টেজের অগ্নিকান্ড থেকে

    0
    313

    “দুই যুবক ঝুঁকি নিয়ে রক্ষা করলেন পথচারীসহ এলাকাবাসীদের।লোকবলের অভাব নেই জানালেন পল্লী বিদ্যুৎ অফিস”

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  মৌলভীবাজারে শ্রীমঙ্গলে পল্লীবিদ্যুৎতের ১১ হাজার ভন্টোটিজে বড় ধরনে অগ্নিকান্ড থেকে রক্ষা করলো এক সাংবাদিকসহ দুই সাহসী যুবক।
    গতকাল (৭মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শ্রীমঙ্গল ইছবপুর এলাকার জ্যোতিষ দেব’র বাড়ির পিছনে ১১ হাজার পাওয়ারের কারেন্ট তাঁরের লাইন আর সেই লাইনে বাতাসে ভেঙ্গে পড়ে এক সাথে ৫ থেকে ৬ টি কাঁচা বাঁশ। একটু একটু করে আগুন ধরতে দেখে বাড়ির মালিকের ছেলে ধ্রুব দেব। এক মুহুর্তেই আগুনের শিখা জ্বলতে থাকে বিকট আকারে।
    এই বাঁশের ঝাড়ে বৃষ্টি বাদলে সময় আসলে ঝড় বৃষ্টিতে এমন অনেকবার এরকম আগুন লেগে যায়। বাড়ির মালিক বহুবার পল্লী বিদ্যুৎতের অফিসের লোককে বলেছেন সব গুলো বাঁশ কেটে দিতে, কি কারনে তারা কাটছে না সেটা বোধগম্য নয় বাড়ির মালিকের। যে কোন ঝড়ের সময় বড় ধরণের র্দূঘটনা ঘটতে পারে বলে আমার

    ধ্রুব দেব আমার সিলেটপ্রতিনিধিকে জানায়,গতকাল রাতে কাল বৈশাখী আচমকা ঝরের সাথে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে তখন ঘরের বাহিরে একটা শব্দ শুনি বিকট আকারে।আমাদের ঘরের পিছনে বেশ কটা বাঁশের ঝাড় আছে আরেকটু কাছে এগিয়ে দেখি কারেন্ট’র তারে হালকা আগুন লেগেছে।এর পরেই দেখি আগুন বাড়ছে।আমি তাৎক্ষনিক শ্রীমঙ্গল পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে হট লাইনে কল করলে ওনারা বলে আমাদের লোকবল কম।আমরা কাল সকালে লোক পাঠাবো। আমি তো চিন্তায় পড়ে গেলাম এর পাশে স’মিল ও একটি রাইচ মিলে একই খুঁটিতে বড় তিনটি টান্সমিটার রয়েছে।
    সেখানেও আগুন ধরে গিয়ে তার ছিড়ে পড়তে পারে।ঐ খুঁটির কাছের তারের নিচে একটি টিন সেটের ঘর আছে তাদের সর্তক করতে গিয়ে যাবার পথে আমাদের এলাকার কাকু আমার সিলেট এর রিপোর্টার ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক জহিরুল ইসলামকে  জানালে তিনি আমাকে বলেন তুমি কি বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ করেছো ? তখন আমি বলি করেছি কিন্ত ওনাদের লোকবল কম সকালে আসবেন। চিন্তায় পড়ে যায় ধ্রুব দেব কি করবেন। এত রাতে। সাহস জোগাড় করে তরুণ সাংবাদিক ও নাট্য অভিনেতা জহিরুল ইসলাম বলে চল দেখি কি করা যায়।
    তিনি আরোও বলেন ,কাকু পরে ওনার পরিচয় দিয়ে আবার অফিসে কল করলে একই কথা বলেন পল্লী বিদ্যুৎতের অফিসের কন্ট্রোল রুম থেকে।কাকু ঘটনার বিস্তারিত খুলে বললে ওনারা (পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে) আমাদের কে বিকল্প রাস্তা দেখায় কিভাবে এটা বন্ধ করা যাবে।

    আমরা কাজে লেগে পড়ে যাই সাহস নিয়ে। তখন মনের ভিতরে ভয়ে কাজ করছে কাঁচা বাঁশ তারে আছে।আবার সেখানে বাঁশের ঝোপে সাপের ভয় বাহিরে খুব অন্ধকার।
    এ ব্যাপারে ওই যুবকদের একজন আমার সিলেট প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম এই প্রতিনিধিকে জানান, পরিস্থিতি দেখে দ্রুবকে নিয়ে রিস্ক নিয়েই বাঁশ কাটার কাজে লেগে যায়, এ সময় পল্লী বিদ্যুতের কন্ট্রোল রুম থেকে বিদ্যুৎ লাইন অফ করে মোবাইলের সাহায্যে যোগাযোগ রক্ষা করি। এর মধ্যে হঠাৎ করে আমাদের টর্চ লাইটের চার্জ চলে গেলে ফোনের লাইট দিয়ে কাজ করে শেষ করি এবং অবশেষে মোবাইলের মাধ্যমে কাজ শেষ হয়েছে বলে জানালে পল্লী বিদ্যুতের শ্রীমঙ্গল কন্ট্রোল রুম আবার বিদ্যুতের সংযোগ প্রদান করেন,এ ভাবেই আমরা দুজন মিলে বড় ধরনের বিপদ থেকে এলাকার ১০টি পরিবার কে রক্ষা করতে সহযোগিতা করি।

    তিনি আরও বলেন, গত ১২-১৩দিন আগে ও এমনি একটি ঘটনা সন্ধ্যার দিকে ঘটে বাঁশ পড়ে কারিতাসের পিছনে খুঁটির তার ছিড়ে পড়ে যায়।সেখানোও তিনটি টান্সমিটার ছিল। ছড়ার পাড়ে আর ছড়ার ও পুকুরের পানিতে কারেন্টের তার পড়ে ফেনা ওঠে পানিতে এবং বৃষ্টি পানিতে মাটির রাস্তা ভেজা থাকার কারনে রাস্তাতে কারেন্ট হয়ে যায়।আমি কল করলে তারা এসে রাত ৩ টা পর্যন্ত কাজ করে লাইন সচল করেন।সকালেই যেকোন বড় ধরনের দূর্ঘটনার স্বীকার হয়ে যেতো।

    এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জি এম জিয়াউর রহমান আমার সিলেটকে বলেন, “গতকাল রাতে যারা আপনাদের বলেছেন আমাদের লোকবল কম সেটা তারা ঠিক বলেনি।তবে যে দু’জন যুবক সাহস করে একাজটি করেছে তারা বড় ধরনের ঝুকি থেকে রক্ষা করেছে এলাকাবাসিকে। আর আমাদের বর্তমানে লোকবল সংকট নেই যে কোন সময় এ ধরণের দূঘটনার আভাস পেলে আমাকে সরাসরি জানাবেন আমি তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিবো।