শ্রীমঙ্গলে বালি নিলামে,জব্দকৃত মালামাল,জরিমানা ও মামলা

    0
    272

    জব্দকৃত বালু নিলামে চার লক্ষ চুয়াল্লিশ হাজার টাকা বিক্রয় ও দুই লাখ আশি হাজার টাকা অর্থদণ্ড।

    জহিুরুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদক: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গতকাল  ৬ জুলাই কালাপুরের মাইজদিহি চা বাগানের এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ আটকৃত বালু নিলামে বিক্রয় ও জড়িদের বিরেুদ্ধে অর্থদন্ড এবং থানাতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    শ্রীমঙ্গল উপজেলাধীন কালাপুর ইউনিয়নের মাজদিহি নামক স্থানে কতিপয় দুর্বৃত্ত চা বাগানের লিজডিডভুক্ত খাস জমির বালু উত্তোলনের মাধ্যমে সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করছে- রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এরকম তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল ৬ জুলাই দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শ্রীমঙ্গল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

    অভিযানে র্যাব-৯, শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর আহমেদ নোমান জাকি এর নেতৃত্বে র্যাবের এর একটি টিমের সহায়তা প্রদান করে।

    অভিযান পরিচালনাকালে ঘটনাস্থলে সাম্প্রতিক সময়ে উত্তোলিত স্তুপীকৃত বালু ও বালু উত্তোলনের সরঞ্জামাদি ( ২টি শ্যালো মেশিন, জোড়া লাগানো বেশকিছু পাইপ, ১ টি এক্সকেভেটর ও বালুভর্তি নাম্বার বিহীন ১ টি মিনিট্রাক) পাওয়া যায়। সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করার সাথে জড়িত দুর্বৃত্তরা অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যায়।

    পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে উত্তোলনকৃত স্তুপ করা প্রাপ্ত বালি আনুমানিক ৪২,০০০ ( বিয়াল্লিশ হাজার) ঘনফুট বালু প্রকাশ্যে গতকাল ৬ জুলাই বিকাল ৫ টায় স্পট নিলামের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতার নিকট হতে ৪,৪৪,০০০ ( চার লক্ষ চুয়াল্লিশ হাজার) টাকা নিলামমূল্য পাওয়া যায়।

    এছাড়া বালু উত্তোলনের সরঞ্জামাদির মালিককে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী ২,৮০,০০০ ( দুই লাখ আশি হাজার) টাকা অর্থদণ্ড আরোপ ও আদায় করা হয়।
    একইসাথে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্য অনুযায়ী বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত সামসু মিয়া, আক্কল মিয়া ও আব্রু মিয়া) এদের বিরুদ্ধে শ্রীমঙ্গল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-৯/২০২০

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শ্রীমঙ্গল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করার এসময় তিনি জানান,অত্যন্ত দুঃখজনক আমি ব্যথিত ও মর্মাহত । মহামারী দুর্যোগে মানুষ যখন জীবন বাঁচাতে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত এসময়ে এই কালপিট চক্রটি সরকারি সম্পত্তি চুরি করে যাচ্ছে। এদের সামান্যতম ভয় নেই আমরা এতদিন অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকার সুযোগে তারা ইচ্ছেমতো সমস্ত অবৈধ কাজ কারবার চালিয়ে গেছে আজ থেকে আর তা হবে না। এখন থেকে নিয়মিত অভিযান চলবে সেটা কালাপুরে হোক অথবা মির্জাপুরে, আশিদ্রোন অথবা ভূনবীর বা সিন্দুরখান। আমি সবাইকে হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি। অবৈধ বালি ব্যবসায়ীদের এখন থেকে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা এখন নিয়মিত মাঠে থাকবো।কালফিটরা পালিয়েছে।

    যেখানেই যারা অবৈধভাবেই বালু উত্তোলন করবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযান পরিচালনা করবো।কাউকে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দিবো না।

    পূর্বের নিউজ দেখতে ক্লিক করুন এখানে

    শ্রীমঙ্গলে বালি উত্তোলনে পুকুরচুরি,উপজেলা কর্মকর্তার অভিযান