শ্রীমঙ্গলে বাগান ম্যানেজারের স্বেচ্ছাচারিতায় কৃষকরা বিপাকে

    0
    220

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ  এক দিকে করোনার প্রভাবে খাদ্যঘাটতির আশংকা অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ এক ইঞ্চি জমিও অনাবাধি না রেখে ফসল ফলানোর জন্য। শ্রীমঙ্গল উপজেলার কৃষি সেক্টরে পাহাড়ী  ছড়ার অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু অতি লোভী স্বেচ্ছাচারী কিছু বাগান ম্যানেজার ও মালিকদের কারণে শত শত একর বোরো ধানের জমি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন হাওরে অথচ পানির সুবিধা থাকা সত্ত্বেও সেই পানিতে নেই তাদের অধিকার।

    আবার মৌসুমের কখনো চা বাগান থেকে নিঃসৃত বিষাক্ত পানিতে ছড়ার মাছ, পোকা মাকড়,গরু ছাগল পর্যন্ত মারা যাচ্ছে ওই পানি পান করে এমন অভিযোগ ও শোনা গেছে কাকিয়াবাজার সংলগ্ন এলাকা বাসি থেকে।

    এদিকে চৈত্রের কাঠফাটা রোদে দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় পানি ছাড়া বোরো ধানের জমিসহ ছড়ার পাড়ে থাকা মৌসুমি সবজির ক্ষেত শুকিয়ে গেছে। কেবলমাত্র পাহাড়ি ছড়া গুলো থেকে নেমে আসা প্রবাহিত ছড়া গুলো বন্ধ করে বিভিন্ন এলাকার চা বাগান ম্যানেজাররা চা গাছে পানি দিতে গিয়ে নিম্নআয়ের কৃষকদের ফেলে দিয়েছে মহাসঙ্কটে।

    সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় সোনা ছাড়া বাগান বেয়ে আসা একটি পাহাড়ি ছড়াতে উঁচু করে বাঁধ দিয়ে নিচু এলাকায় যাতে করে এক ফোটা পানিও না যেতে পারে সে লক্ষ্যে ছড়ার সম্পূর্ণ পানি বন্ধ করে দিয়ে নিম্ন এলাকার ফসলের মাঠকে চৌচির করে দিয়েছে। ভুক্তভোগী ও ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় প্রায় ১৫/২০ দিন ধরে ছড়ার পানি সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে সোনাছরা বাগান ম্যানেজার।ফলে শতাধিক একর জমির ফসল পড়েছে হুমকির মুখে।এক দিকে করোনার হামলা অন্য দিকে জমি ফেটে চৌচির আমরা এই বছরে খাব কি এমন প্রশ্ন অনেকের।

    স্থানীয়রা আরও জানান, একফোঁটা পানিও নিম্নের দিকে এগোতে পারে না এতে করে আমরা আমাদের গরু ছাগল বা কোন পশু পাখি ও ছড়া থেকে পানি পান করতে পারে না।

    অপরদিকে মৌসুমী সবজির ক্ষেত গুলো পানির অভাবে শুকিয়ে গেছে এর প্রভাবে কয়েক লক্ষাধিক টাকার মৌসুমী সবজি ক্ষতি হয়েছে বলে চাষিদের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    তাছাড়া ছড়ায় পানি না থাকায় কোন পশু পাখিও এখান থেকে পানি পান করতে পারে না।এমনকি যারা ছড়ার পানি গোসলসহ দোয়ার কাজে ব্যবহার করে সাংসারিক কাজ কর্ম সারতেন তারা ও এখন পানি ছাড়া অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছে।

    এ ব্যাপারে সোনাছড়া চা বাগানের ম্যানেজার নুর উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

    শ্রীমঙ্গল উপজেলা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামের সাথে গত ৭ এপ্রিল রাতে আমার সিলেটের কথা হলে তিনি বলেন “কোন প্রবাহিত পাহাড়ি ছড়া সম্পুর্ন বন্ধ করার নিয়ম নেই,আমি বিষয়টি দেখছি।”