শ্রীমঙ্গলে পুকুরে ডুবে ছাত্রের মৃত্যু,বোনের দাবী সাঁতার জানতো

    0
    216

    বোনের দাবী নিহত রাহুল সাঁতার জানতো

    সোলেমান আহমেদ মানিক,শ্রীমঙ্গল থেকেঃ মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গলে পানিতে ডুবে এক কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শ্রীমঙ্গল সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    বুধবার (৩১ অঅক্টোবর) দুপুরে রাহুল দেব রায় (২২) নামের এক ছাত্র শ্রীমঙ্গল শহরের হাউজিং স্ট্রেট পুকুরে গোসল করতে গিয়ে ডুবে গেলে পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত শ্রীমঙ্গল সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। এ সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাজ্জাদ ওই ছাত্রকে মৃত ঘোষণা করেন।

    পরে পরিবারের লোকজন রাহুলকে হঠাৎ নড়ে উঠতে টের পেয়ে ‘ছেলেটি মারা যায়নি’ বলে কর্তব্যরত ডাক্তারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। একপর্যায়ে তারা হাসপাতালের গ্লাস ভাঙচুর করেন। পরবর্তীতে ডা. সাজ্জাদ শ্রীমঙ্গল থানায় খবর দিলে উপ-পরিদর্শক এসআই রফিকসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য হাসপাতালে আসেন।

    শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ সাজ্জাদ জানান, তারা রাহুলকে মৃত অবস্থাতেই হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তারপরও তাদের পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য আমি মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেছিলাম।

    শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইটও) ডা. জয়নাল আবেদিন টিটু জানান, ছেলেটি পানিতে ডুবেই মারা যায়। আমাদের হাসপাতালের দু’জন চিকিৎসক ডা. সাজ্জাদ এবং ডা. মহসীন ছেলেটিকে মৃত অবস্থায় পেয়েছেন। তার এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে ভাঙচুর করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    নিহতের ছোট ভাই রিমেন দেব জানায় ‘খেলার কথা বলে হাউজিং স্টেট যায় দাদা। তার পরনে ছিলো প্যান্ট ও টি-শার্ট। দাদার সঙ্গে অপর তিন জনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে দাদা সাঁতার জানতো।’

    শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের অফিস সহকারী গৌরাঙ্গ দেব রায়ের ছেলে রাহুল দেব রায়। রাহুল এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে সিলেট এমসি কলেজের স্নাতক বিভাগে ভর্তি হয়। গত মঙ্গলবার রাহুল তার অসুস্থ বড়মা (বাবার দাদি)-কে দেখতে শ্রীমঙ্গল আসে। রাহুল দেব রায়ের এমন অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে পুরো এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।