শ্রীমঙ্গলে পাহাড় কাটাঃযে কোনো মুহূর্তেই ঘটতে পারে দুর্ঘটনা

    0
    261

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২০জানুয়ারী,হৃদয় দেবনাথঃ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে পাহাড় কাটার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও শ্রীমঙ্গল উপজেলায় অনেকেই তা মানছেন না। উপজেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতেও থামানো যাচ্ছে না মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল এলাকায় পাহাড় কাটা। উল্টো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অগোচরে বেড়েই চলেছে একের পর এক পাহাড় কাটার ঘটনা। আজ শনিবার সকাল ১০টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিষামনি এলাকায় স্থানীয় মনির মিয়া নামে এক ব্যাক্তি বাড়ি নির্মাণের উদ্দেশ্যে পাহাড় কেটে চলেছেন। অথচ এই পাহাড়ের নিচেই বসবাস করছেন কয়েকশ পরিবার!ফলে যেকোনো মুহূর্তেই পাহাড়ের মাটি ধসে ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে বলেন, মনির মিয়া প্রায় একসপ্তাহ ধরে ১০–১২ জন শ্রমিক নিয়ে বাড়ি নির্মাণের জন্য পাহাড় কেটে সাবাড় করছে।

    এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে মাটি পাচার করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। স্থানীয় প্রশাসনের ছত্র–ছায়ায় চলছে এ পাহাড় কাটার মহোৎসব। উপজেলা প্রশাসনের নিষেধ থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত পাহাড় কর্তনের ফলে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা করছে স্থানীয় পরিবেশ বাদী সচেতন মহল। পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানায়, ইমারত নির্মাণ বিধিমালা–১৯৯৬ ইং সনে বলা হয়েছে, পাহাড় কাটা অথবা মোচনের জন্য পরিবেশ ছাড়পত্র অবশ্যই নিতে হবে। ২০০২ সালের ৯ মার্চ পরিবেশ অধিদপ্তর এ সম্পর্কিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। যেখানে বলা হয়েছে পাহাড় কর্তন ও মোচনের েতে্র ইমারত নির্মাণ বিধিমালা –১৯৫২ এবং ১৯৯৬ অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন–২০১০ অনুযায়ী, পাহাড় কাটা আমলযোগ্য অপরাধ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমতি ছাড়া কোনও সরকারি, আধা–সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান অথবা ব্যক্তি পাহাড় কাটতে বা নিশ্চিহ্ন করতে পারবে না। যদি কেউ এটি অমান্য করে, তবে তাকে অথবা ওই প্রতিষ্ঠানকে দুই বছর কারাদণ্ড অথবা ২ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। ফের একই অপরাধ করলে, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ১০ বছর কারাদণ্ড অথবা ১০ লাখ জরিমানা গুণতে হবে। স্থানীয়দের দাবী প্রশাসনের ছত্র–ছায়ায় অভিযুক্ত মনির মিয়া পরিবেশ আইন তোয়াক্কা না করে পাহাড় কেটে সাবাড় করছে। এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি দাবী জানান।
    শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোবাশশেরুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের কঠোর নজরদারির সত্ত্বেও কিছু অসাধু ব্যক্তিরা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পাহাড় কেটেই চলছেন। জরিমানা কিংবা মামলা দায়ের করেও তাদের থামানো যাচ্ছে না। আজ খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি মোহাম্মদ আশেকুল ইসলামকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি তিনি পরিদর্শন শেষে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলে দিয়েছি!এই বিষয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি মোহাম্মদ আশেকুল ইসলাম জানান আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা পেয়েছি আজ অথবা আগামীকাল মনির মিয়ার বিরুদ্ধে আমরা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি! তিনি আরো বলেন পাহাড় কাটার বিষয়ে জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পাহাড় কাটায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেন তিনি।