শ্রীমঙ্গলে পতিতাদের রমরমা ব্যবসাঃধ্বংসের পথে শিক্ষার্থীরা!

    1
    2992

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৫জুলাইঃভ্রাম্যমান প্রতিনিধিঃ  পর্যটন নগরী শ্রীমঙ্গলে অবাধে চলছে বহিরাগত পতিতাদের আনাগোনা । যার ফলে স্থানীয় যুব সমাজসহ স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে এসে দাড়িয়েছে ।শহরের বিভিন্ন আবাসিক এলাকাসহ হোটেল,রেস্ট হাউস এবং বিউটি পার্লার ব্যবসার আড়ালে চলছে এ অনৈতিক কার্যকলাপ।বিভিন্ন এলাকা থেকে পতিতা নিয়ে এসে অবাধে মিনি পতিতালয় বানিয়ে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে নেওয়াটা যেন এই ব্যবসার নতুন একটি মাত্রায় যোগ হয়েছে । শুধু যে রেস্ট হাউস, হোটেল গুলোতেই এর সীমাবদ্ধতা রয়েছে তা কিন্তু নয় ।সুযোগ সন্ধানীরা নানা ফাঁকফোকর ব্যবহার করে পতিতাদের নিয়েই একটি আধুনিক ব্যবসা দাড় করিয়েছে। ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে প্রভাবশালী কিছু চক্র নির্দ্বিধায় চালিয়ে যাচ্ছে ভদ্র সমাজে পতিতা ব্যবসা । আর সেই পতিতালয়ের ভোক্তারা হচ্ছে শহরের স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ ভদ্র পরিবারের সন্তানেরা । যারা সম্পূর্ণ নিরাপদে, নির্ভয়ে মিটাচ্ছেন তাদের যৌন ক্ষুধা ।

    অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব পতিতালয় থেকে প্রশাসনকে মাসুয়ারা দেওয়া হয়ে থাকে। এদিকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় দেশের নানা প্রান্ত থেকে বিভিন্ন বয়সী মেয়েদের এনে প্রশাসনের একটি চক্রকে ম্যানেজ করে নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছেন দেহ ব্যবসা। ফাতেমা বেগম ওরফে মালিকে প্রশাসন হাতে নাতে একাধিক বার গেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠালেও বেরিয়ে এসে জড়িয়ে পরেছেন সেই পুরনো ব্যবসায়।

    অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসলো আর এক ভিন্ন চিত্র । সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে শহরের আনাচে কানাচে ঘুরতে দেখা যায় ১৩-১৪ বয়সী মেয়ে শিশুদের। শহরের এক শ্রেণীর দিন মজুর,ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ভোগ্য পন্যে পরিনত হয়েছে সেই সব শিশুরা । বলা চলে এক প্রকার বাধ্য হয়েই সেই অনাথ শিশুরা জড়িয়ে পড়ছে অজানা গন্তব্যের পথ যৌনকর্মে । অজান্তেই নিজেদের মুখের আহার যোগাতে নেমে পড়ছে অবৈধ আয়ের এই পথে । তবে বেশির ভাগ শিশুকে ঐ শ্রেণীর পুরুষরা এক প্রকার বাধ্যই করছে নিজেদের স্বার্থে ।

    কেউ কেউ ভয়ে আবার কেহ আবেগের বশে ঐ শ্রেণীর পুরুষদের ভোগ্য পন্য হয়ে অতিবাহিত করছে তাদের দিন  ।

    পর্যটন নগরী বলে প্রতিদিন দেখা যায় অনেক পর্যটকের আসা যাওয়া । এদের মধ্যে অধিকাংশই ক্যাপল । যারা ঘুরার ছলে নিরাপধে জামাই-বউ পরিচয় দিয়ে এক রুমে এক সাথে রাত্রি যাপন করছে । গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, বাইরে থেকে যে সব ক্যাপল বেড়াতে আসে তাদের অধিকাংশই পতিতা ভাড়া করে নিয়ে আসে ২-৩ দিনের জন্য । ঐ ২-৩ দিনের জন্য ঐসব ভদ্র পতিতারা হযে যান সেই সব ছেলেদের বউ কিংবা গার্লফ্রেন্ড ।

    আবার দেখা গেছে স্থানীয় ছেলেরা পড়াশুনার সুবাদে বাইরে থাকার কারনে বাইরের বন্ধুদের সুবিধার্থে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে আমন্ত্রণ জানায় সৌন্দর্যমন্ডিত এই চায়ের রাজ্যে । আর স্থানীয় বন্ধুর আমন্ত্রনকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাতে বাইরের ছেলেরা সাথে নিয়ে আসে তার বান্ধবী কিংবা ভাড়া করা পতিতা ।

    এভাবেই শ্রীমঙ্গলে অবাধে চলছে পতিতার আনাগোনা । যা এই শহরের ভাবমূর্তি বাইরের সচেতন মানুষদের কাছে নষ্ট হচ্ছে । হারাতে বসেছে সুশীল সমাজের কাছে এই শহরের নিজস্ব খ্যাতি । অবাধে এসব অনৈতিক কার্য্যকলাপ বন্ধে প্রশাসনসহ স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা যেন এগিয়ে আসেন । তা না হলে অদূর ভবিষ্যতে শ্রীমঙ্গল হারাবে তার শ্রীকে।

    এব্যপারে শ্রীমঙ্গল থানার ইনচার্জ মো আব্দুল জলিল এর সাথে যোগাযোগ করা হলে এই প্রতিবেদকে আশ্বাস দেন,তিনি অচিরেই এ ব্যপারটি দেখবেন এবং প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।