শ্রীমঙ্গলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতে ময়লা ফেলার চেষ্টা !

    0
    255

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৩১জুলাই,শিমুল তরফদার, শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধিঃ দিনভর শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর বিক্ষোভ ও উপস্থিতির কারনে শ্রীমঙ্গল এর ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্টানের সামনে অবস্থিত পৌরসভার ময়লা ফেলার স্তুপে ময়লা ফেলতে পারেনি পৌরসভা। কিন্তু রাত নামতে না নামতেই পৌর সভার ২ ময়লা বুঝাই গাড়ি এসে উপস্থিত নিষেধাজ্ঞা করা যায়গায়। তবে সেখানে ময়লা ফেলার সুযোগ দেয় নি এলাকাবাসী।  মুহুত্তেই কয়েকশত এলাকাবাসী জড় হয় সেখানে। পৌরসভার ময়লা ফেলার গাড়ি গুলোকে ফিরিয়ে দেন সেখান থেকে।

    এদিকে রবিবার (৩১ জুলাই) সকালে শ্রীমঙ্গল কলেজ রোডস্থ ময়লার ভাগাড়ে ময়লার গাড়ী আটকিয়ে দিয়ে সেখানে বাঁশ বেড়া দিয়ে প্রতিবাদ জানায়েছিলেন এলাকাবাসীসহ আন্দোলনরত সহস্রাধিক ছাত্র-ছাত্রী, সচেতন নাগরিক এবং অভিভাবকরা।
    সোমবার (৩১ জুলাই) সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় শ্রীমঙ্গল সরকারী কলেজে, দি বার্ডস রেসিডেন্সিয়্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং গাউছিয়া শফিকিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী প্লেকার্ড, ফেস্টুন হাতে নিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

    এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে দিনভর পৌরর সভার গাড়ি ময়লা ফেলতে পারেনি।

    এলাকাবাসী জানায়, আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্টদের কাছে আমাদের দাবি জানিয়ে আসছি। মানববন্ধন, মতবিনিময়সহ বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে আসছি। পৌর সভায় ময়লার ডিপোর পাশে বেশ কয়েকটি সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাদরাসা, মসজিদসহ আবাসিক এলাকা রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কয়েক হাজার শিক্ষক প্রতিনিয়ত উৎকট দুর্গন্ধের মধ্যে পাঠদানরত। মাঝে মধ্যে অনেক শিক্ষার্থীদের ময়লার দুর্গন্ধে অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে পাঠাতে হচ্ছে। এহেন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে বাসাবাড়ীতে স্থানীয় এলাকাবাসী দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করছেন।
    তারা আরো জানায়,  এই জায়গায় আর ময়লা ফেলতে দেওয়া হবে না। আমরা দরকার হলে রাত জেগে পাহারা দিব।

    উল্লেখ্য শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের জেটি রোড এলাকার অধিগ্রহণ কৃত জমিতে নতুনভাবে ময়লার ভাগাড় নির্মাণের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করলে মহামান্য হাইকোর্ট ওই জমির উপর প্রথমে স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। পরে চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রিট পিটিশনটি খারিজ করে দিলে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে গত ১৩ ও ১৫ জুন পৌরসভা ওই জমিতে কাজ করতে গেলে বাঁধার সম্মূখীন হয়।