শ্রীমঙ্গলে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের যথাযথ প্রয়োগ চাই…

    0
    237

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১০মার্চ,এস কে দাশ সুমন: গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে প্রকাশ্যে ধুমপান করলে ৫০ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে কিন্ত চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী। এদেশে শিক্ষাঙ্গন সহ সমস্ত পাবলিক প্লেসে প্রকাশ্যে ধুমপান করলেও দেখার যেন কেউ নেই, ফলে এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে আমাদের কমলমতি শিশু ও অধুমপায়িদের উপর প্রভাব পড়ছে অর্থনীতির চাকায়, প্রভাব পড়ছে জনস্বাস্থ্যের উপর।সৃষ্টি করছে ক্যানসার সহ মারাত্নক স্বাস্থ্য সমস্যা, ব্যায়বহুল এই চিকিৎসার খরচ যোগাতে সর্বশান্ত হচ্ছে ভূক্তভূগিরা।

    তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারায় বলা হয়েছে পাবলিক প্লেস বা গনপরিবহনে ধুমপান করলে ৩০০ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে আইনে ২৪ ধরনের প্লেস কে পাবলিক প্লেস বলা হয়েছে যেমন সরকারি আধা সরকারি, বা স্বায়ত্তশাসিত অফিস, গ্রন্থাগার, লিফট, আচ্ছাদিত কর্মক্ষেত্র, হাসপাতাল ও ক্লিনিক ভবন, বিমান নৌ ও সমুদ্র বন্দর ভবন, রেলওয়ে ও বাস টার্মিনাল ভবন, পেক্ষাগৃহ ও প্রদর্শনী কেন্দ্র, থিয়েটার হল, বিপণি ভবন, আবদ্ধ রেস্টুরেন্ট, শিশুপার্ক মেলা ইত্যাদি।
    এবং গনপরিবহণ বলতে বাস, মোটরগাড়ি, রেলগাড়ি, ট্রাম, জাহাজ, লঞ্চ, বা যে কোন মোটর যান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০০৪ সালের এক হিসাবমতে, বাংলাদেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে মারা যায় ৫৭ হাজার মানুষ। পঙ্গুত্ববরণ করে প্রায় চার লাখ মানুষ। দেশে অনেক তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। দেশের উত্তরাঞ্চল সহ বিভিন্ন জায়গায় ধান- পাট বাদ দিয়ে কৃষকরা তামাক কম্পানির লোভনীয় শর্তের ফাঁদে পা দিয়ে তামাকের চাষ করছে । তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান তামাক চাষের জন্য অগ্রিম টাকা দিচ্ছে। তামাক চাষের কারণে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, জমিতে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে।

    ধূমপানে আমাদের শারীরিক ব্যাপক ক্ষতি সম্পর্কে আমরা জানি ধূমপানের ফলে ধীরে ধীরে মানুষের জীবনকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। ধূমপান এমন একটি ক্ষতিকর বিষয়, যা একজন মানুষের সব অঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সাধারণ মানুষের চেয়ে ধূমপানকারীদের ফুসফুসের ক্যানসারের হার অনেক বেশি, ধূমপানের কারণে ধূমপায়ীদের স্ত্রী, সন্তানসহ তাঁর সংস্পর্শে থাকা অন্যদেরও বিভিন্ন প্রকার শারীরিক ক্ষতি হয়। একজন ধূমপানকারীর অনাগত সন্তান বিকলাঙ্গসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

    বিশেষ করে আমাদের তরুন প্রজন্ম এর ভয়াবহতার শিকার তাছাড়া স্কুল কলেজের উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা শখের বসে অথবা অন্যের পরোচনায় ধূমপানে আসক্ত হচ্ছে। ভবিষ্যতে তামাকজাত নিয়ন্ত্রণ আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমেই বাঁচানো যেতে পারে আমাদের যুব সমাজকে।

    বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বাজেটে তামাকের উপর বাড়তি কর আরোপ করলেও বন্ধ হয়নি তামাকের ক্ষতিকর ব্যবহার।
    পর্যটন নগরী হিসেবে শ্রীমঙ্গল সমগ্র বিশ্ববাসীর নিকট পরিচিতি লাভ করলেও পাবলিক প্লেসে ধূমপানের কারনে বিরক্তিকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে এখানে আগত দেশি বিদেশি পর্যটক দের । বিশেষ করে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন বাস স্ট্যান্ড বিভিন্ন স্কুল কলেজের সামনে এবং মার্কেট বা শপিং মলের ভিতর প্রকাশ্যে ধুমপান ভাবিয়ে তুলেছে স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ কে।

    এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন শ্রীমঙ্গলের সচেতন নাগরিক সমাজ।