নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে বন্ধুকে বন্ধু খুন করে প্রায় সাড়ে ৩১ ঘণ্টা পালিয়ে থেকে অবশেষে শ্রীমঙ্গল ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করলে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ তাদের জালে আটকে ফেলে খুনের অভিযোগে মামলার প্রধান আসামি সজীবকে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত উপজেলা শহরের কলেজ রোডস্থ প্রেসক্লাবের উল্টো দিকের সম্মুখস্থ রাস্তার উপর থেকে ছুরিকাহত এক যুবককে শনিবার রাতে (১৭ জুলাই ২০২১) উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত যুবকের নাম শরিফ (২৫), পিতা শায়েস্তা মিয়া, গ্রাম- উত্তর উত্তরসুর মোকাম বাড়ী,শাহজিবাজার, শ্রীমঙ্গল বলে জানা যায়।
পরে এ ঘটনায় বাদী হয়ে নিহত সজীবের মা মোছাম্মদ দিলারা বেগম ফেইসবুকে ভিডিও প্রচারের সূত্র ধরে নিহত শরিফের বন্ধু নাসির উদ্দিন সজীব খান (২৫),পিতা মোঃ আলমগির হোসেন খান সাং শান্তিবাগ,আ/এ ও অজ্ঞাত নামাসহ একটি অভিযোগ থানায় দায়ের করে।
খুনের ঘটনার পর থেকেই পুলিশ বিভিন্ন সংবাদের সূত্র ধরে অভিযুক্তকে খুঁজে আসছিল।মামলার পরে এই ঘটনায় আরও তৎপরতা বেড়ে যায়,একপর্যায়ে গত রাত (১৯ জুলাই) ভোর ৪ টার দিকে এসআই আলআমীনসহ পুলিশের একটি টিম জেলার এসপি জাকারিয়া সুমনের নির্দেশে শ্রীমঙ্গল সার্কেল এএসপি শহীদুল হক মুন্সী ও শ্রীমঙ্গল থানার ওসি আব্দুছ ছালেক দুলালের সার্বিক তথ্যাবধানে পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত হুমায়ুন কবিরের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে ওই আসামিকে রেলওয়ে ষ্টেশন এলাকা থেকে আটক করে। এস আই আলামিন বলেন সজীব শ্রীমঙ্গল থেকে পালাতে চেষ্টা করেছিলো এর আগেই আমরা তাকে আটক করে ফেলি।
ঘটনার দিনে সংবাদ প্রাপ্তির পর শ্রীমঙ্গল সার্কেল এএসপি শহীদুল হক মুন্সী ও শ্রীমঙ্গল থানার ওসি আব্দুছ ছালেক দুলালসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল (উদ্ধার কৃতস্থান) ও আশ পাশের এলাকা, হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে সন্দেহ মূলক কিছু নমুনা সংগ্রহ করা কালীন সময়ে তিনি বলেছিলেন আমরা দ্রুত অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।
শ্রীমঙ্গল থানার ওসি আব্দুছ ছালেক দুলাল গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করে বাকিদের ও দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান।
পুর্বের সংবাদ দেখুন