শ্রীমঙ্গলে কল্পিত সাত মাজার বানিয়ে অর্থআত্মসাতের অভিযোগ

    0
    385

    সরেজমিনে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রথম পর্ব আজ প্রকাশিত হলঃদ্বিতীয় পর্ব আসছে

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৭ফেব্রুয়ারী,কাজল ও জহির,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ   মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের লালবাগ এলাকায় ৭ বৎসরে ৭ আকারের কল্পিত সাতটি কবরের আকৃতি তৈরি করে ৭ পীরের মাজার বানিয়ে একটি  সঙ্গবদ্ধ প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে সরলমনা অলিভক্ত নারী পুরুষের কাছ থেকে অর্থআত্মসাত,কাল্পনিক ফতুয়া ও অনৈতিক কর্ম কাণ্ডের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    প্রাপ্ত অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে কল্পিত মাজার তৈরি চক্রের সদস্য ও প্রচারক,স্কুল মাস্টার দাবীদার আলতাফুর রহমান, শ্রীমঙ্গল থানার আশিদ্রোন এলাকার পরিচয়দানকারী,পিতা অজ্ঞাত (০১৭৭১-৭১৪৩৯৬) এই নম্বারধারি ব্যাক্তির সাথে যোগাযোগ হলে তিনি গত ২৪ ফেব্রুয়ারী ১৭ ইং তারিখ থেকে মোবাইলে ও ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৮ টায় আমার সিলেট কার্যালয়ে সাক্ষাতে তার কথিত পীর মোতাহির মিয়ার সাথে সরেজমিনে সাক্ষাত করে সংবাদ প্রচারের অনুরোধে আমার সিলেটের ৩ জনের একটি টীম ২৬ তারিখ রবিবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় ঘটনা স্থলে যান।

    সেখানে মাজার কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে কল্পিত মাজারের চিত্র ধারণ করার এক পর্যায়ে কল্পিত মাজারের প্রতিষ্ঠাতা মোতাহির মিয়ার সাথে সাক্ষাতের কথা বললে মাজার তৈরি চক্রের সদস্য আলতাফুর রহমানসহ আরও ১০/১২ জন নারী পুরুষ এ প্রতিনিধিদের বাড়ির ভিতরে নিয়ে যান এবং কল্পিত মাজার প্রতিষ্ঠাতা মোতাহের মিয়ার সাথে সাংবাদিকদের পরিচয় করিয়ে দিলে তিনি প্রতিনিধিদের বসার সুযোগ দেন এবং আলোচনার অনুমতিদেন।

    আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি এ প্রতিনিধিদের জানান “তিনি সৌদি আরবে শ্রমিকের কাজ করতেন।২০০২ সালে একদিন হজ্জ করতে গিয়ে পাথরে চুমু খেয়ে  পাথরের পাশে ঘুমিয়ে পরেন এ সময় তার বুকে ইংগিত আসে যে, তার নিজ বাড়িতে ৭ টি মাজার তৈরি করে এর নাম নুরে দরবারিয়া রাখার জন্যে,একই সময়ে একটি প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন ৭ বৎসরে এখানে ৭ টি মাজার ক্রমান্বয়ে এসেছে!”তাদের এখনো নাম রাখা হয়নি?

    কিভাবে এসেছে এর উত্তরে বলেন,ভক্তরা যে দিন যে মাজারের নকশা স্বপ্নে দেখেন এর পরেই তিনি তা প্রতিষ্ঠা করেন।

    ইসলামে এভাবে কল্পিত মাজার প্রতিষ্ঠার নমুনা অতীতে ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি অন্যান্য অলিদের কথা বলেন উদাহরন দিতে পারেন নি বলেন এইন জানেন।

    মাজার তৈরি করার জন্যে একজন বুজুর্গ ব্যাক্তির মৃত দেহ এবং ওই স্থানে দাফন করা জরুরী শর্ত, তাহলে শুধু মাত্র স্বপ্নে পেয়ে মাজার তৈরি করা কি শরিয়ত সম্মত প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন আল্লাহ জানেন।আল্লাহ যেভাবে বলেন আমি সে ভাবেই করি।

    তার পীরের নাম কি জিজ্ঞাসা করলে তিনি শ্রীমঙ্গল শহরের মৃত বারিক মিয়া বলে জানান তবে পীরের তরিকার নাম জানেন না।তার নিজের তরিকার নাম জানতে চাইলে তিনি মুজাদ্দিদ  ও রাসুলের তরিকা বলে উত্তর দেন।লেখা পড়া কতটুকু জানতে চাইলে ৮ম শ্রেণি বলে জানান তবে কত সালে লেখাপড়া শেষ করেছেন বললে তিনি বলেন,বড়  হুজুর যে বৎসর হজ্জে গেছিলেন।

    মহিলারা কেন আসেন এর জবাবে তিনি জানান তাদের মঙ্গল হয় তাই তারা আসেন এ সময় বেশ কয়েকজনের নাম ধরে তাদের কারো ৫ লাখ টাকা পাওয়ার,কারো সন্তান পাওয়ার কথা,বিদেশে যাওয়ার কথা তিনি নিজেই বর্ননা করেন।আপনার এখানে আসা সরলমনাদের কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা আদায় করেন বলে অভিযোগ রয়েছে ? তিনি বলেন ভক্তরা আসেন তাদের ফল পান,আমি মাটি,কাগজ দিয়ে তাদের তাবিজ দিয়ে দেই।তারা নিজ থেকেই টাকা পয়সা দিয়ে যান।

    স্বপ্নে প্রাপ্ত ৭ মাজারের আওলিয়াদের নাম কি নির্ধারন করেছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে মতাহির মিয়া জানান ভক্তরা স্বপ্নেপ্রাপ্ত যে যে নাম দিবেন আমি তা ঘোষণা করবো আমি নিজে কিছু করিনা সব আল্লাহ করেন।কল্পকাহিনী নির্ভর অসংলগ্ন উত্তরের এক পর্যায়ে আপনার মাজার বানানোর প্রক্রিয়া ইসলাম সম্মত কিনা এবং ইসলামের ইতিহাসে এ ভাবে মাজার তৈরির কোন নমুনা পৃথিবিতে কোথাও আছে বলে কি আপনি জানেন ? জিজ্ঞাসা করলে উত্তরে উপরের দিকে ইঙ্গিত করে দেখান তিনি (আল্লহ)জানেন।(চলবে)