শ্রীমঙ্গলের হোটেল ও রিসোর্ট থেকে ৩ নারীসহ গ্রেপ্তার-৯

    0
    394
    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পিপিএম (বার) এর নির্দেশনায় জেলার ডিবি পুলিশ ও শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ শ্রীমঙ্গল শহরের হামিদা,ভিশন ও মুন আবাসিক হোটেল ও রিসোর্টে যৌথ অভিযান পৃথক ভাবে পরিচালনা করে অনৈতিক কার্যকলাপে নিযুক্ত থাকা অপরাধের অভিযোগে ৩ জন নারী ও পুরুষসহ ৯ জনকে আটক করে  বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেন।
    আটক কৃতরা হলেন,আব্দুল হাকিম (২৭) পিতা হারুন মিয়া, মুন্না মিয়া (২১) পিতা আবু সায়েদ,মাধবপাশা, সাতগাঁও, শ্রীমঙ্গল। দোলন রায় (২৮) পিতা মৃত কানু প্রিয়ার, মৌলভিবাজার রোড, (হারুন মিয়ার বাসার ভাড়াটিয়া) শ্রীমঙ্গল। মোছাম্মদ কাজল আক্তার (১৮) উত্তর ভাডাউরা, শ্রীমঙ্গল। সুমা আক্তার রুমকি (২০), পিতা ইদ্রিস আলী, গ্রাম-কুতুবপুর,থানা হিজলা, জেলা বরিশাল। আব্দুল্লাহ মিয়া (২৫) পিতা আম্বর উল্লাহ, গ্রাম-আকিলপুর,থানা কুলাউড়া,মৌলভীবাজার।রাজন দাস (১৮) পিতা গোপাল দাস গ্রাম ভুরভুরিয়া চা-বাগান, শ্রীমঙ্গল। সুমিন দেবনাথ (২৫), পিতা চিত্র দেবনাথ, গ্রাম-রামনগর,শ্রীমঙ্গল। সুমি আক্তার (২২), পিতা ফারুক মিয়া,আফতাব উদ্দিন রোড, শ্রীমঙ্গল।
    শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুছ ছালেক বলেন, এ জাতিয় অভিযান অব্যাহত থাকবে। পরিচয় গোপন রেখে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্যও তিনি বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন।
    এ ব্যাপারে সিনিয়র এ এস পি আশরাফুজ্জামান আমার সিলেটকে বলেন,অনৈতিক কোন কর্ম কাণ্ডের ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জে ছাড় দেওয়া হবে না। পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য তিনি ও আহবান জানিয়েছেন।
    উল্লেখ্য, অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘ দিন ধরে শহরের ভিতরে ও বাহিরে বেশ কিছু আবাসিক হোটেল ও রিসোর্ট নামধারী প্রতিষ্ঠান ও বাসা ভাড়া নিয়ে যৌন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে একটি মাল্টি সিন্ডিকেট গ্রুপ। অভিযান শুরু হলে তারা আড়ালে চলে যায় কিছু দিন নিভৃতে থাকে পরে আবার যেই সেই। তাদের কারণে অন্যান্য অঞ্চলে এই শহরের শ্রী বিনষ্ট হচ্ছে যা ভদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য মারাক্তক হুমকি স্বরূপ। এদেরকে কারা শেল্টার দিচ্ছে তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী সচেতন শ্রীমঙ্গল এলাকাবাসীর।