শ্রীমঙ্গলেও সুশৃঙ্খলভাবে শেষ হলো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উৎসব

    0
    263

    নিজস্ব প্রতিনিধি,সাদিক অাহমেদঃ সারা দেশের ন্যায় শ্রীমঙ্গলেও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে শেষ হলো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।

    আজ (শুক্রবার)  বিজয়া দশমীর মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্টান শারদীয় দুর্গাপূজা।কৃপারূপে মর্ত্যে অবতারণী দেবী দুর্গা আজ ফিরে যাবেন কৈলাশে।হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস প্রতিবছর দেবী দুর্গা অশুর রূপী অশুভ শক্তির বিনাশ করতে পৃথিবীতে আগমন করেন এবং পৃথিবীতে শান্তি অবতারণ করে বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে ফিরে যান কৈলাশে।

    গতকাল (বৃহস্পতিবার) ছিল মহানবমী।নবমীর প্রধান আকর্ষণ ছিল মন্ডপে মন্ডপে আরতি প্রতিযোগীতা।আর আজ ছিল বিজয়া দশমী।দুপুরে শুরু হয় বিজয়া শোভাযাত্রা।বিজয়া শোভাযাত্রার প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক চীফ হুইফ,সাংসদ,আলহাজ্ব উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদ। শ্রীমঙ্গল সার্বজনীন দুর্গাবাড়িতে সম্মিলিত বাদ্য বাজনা,মন্ত্র উচ্চারণ ও পূজা-অর্চনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ ধর্মীয় শোভা যাত্রা।

    আনন্দঘন পরিবেশে চলছে বিসর্জন প্রক্রিয়া

    বিভিন মন্ডপের দুর্গা প্রতিমা গুলো শোভাযাত্রা করা হয় পুরো শ্রীমঙ্গল শহরে।একে একে প্রতিমা গুলো শোভাযাত্রা করা হয় শ্রীমঙ্গল স্টেশন রোড,হবিগঞ্জ রোড,মৌলভীবাজার রোড,কলেজ রোড প্রদক্ষিণ করে শোভাযাত্রাটি।

    বিকাল প্রায় সাড়ে ৫ টায় শ্রীমঙ্গলের প্রধান সরক গুলো প্রদক্ষিণ করে ফিরে যায় স্ব স্ব মন্ডপে। সেখানেই স্থানীয় পুকুর, দিঘিতে দেয়া হয় প্রতিমা বিসর্জন।

    তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস মতে ০৮ অক্টোবর  মহালয়ার মধ্য দিয়ে মর্তালোকে এসেছিলেন দুর্গতি নাশিনী দেবী দুর্গা।

    পূজা উৎযাপন পরিষদ শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার তথ্যমতে,এবছর শ্রীমঙ্গলে ১৬৮ টি মন্ডপে অনুষ্টিত শারদীয় দুর্গাপূজা।যার মধ্যে ১৫৫ টি মণ্ডপ ছিলো সার্বজনীন ও বাকি ১৩ টি ছিলো ব্যক্তিগত।হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতে,দেবী এবার ঘোড়ায় চড়ে এসেছিলেন পিত্রালয়ে এবং দোলনায় চড়ে ফিরে গেলেন কৈলাশে।

    এদিকে প্রতিমা বিসর্জন ও বিজয়া শোভাযাত্রার শুরুর ফলে শ্রীমঙ্গলে দেখা দেয় বিশাল যানজটের, এতে প্রায় ৩ ঘণ্টারও অধিক যাত্রীদের পোহাতে হয়  অবর্ণনিয় দুর্ভোগ।

    এদিকে বিজয়া শোভাযাত্রাকে সফল করার জন্য প্রশাসনের ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো।অনাকাঙ্ক্ষিত যেন কোন ঘটনা না ঘটে সেজন্য রাস্তায় ছিল পুলিশি টহল ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। তা ছাড়া স্থানিয়দেরও সহযোগিতার কমতি ছিলনা।
    সর্বশেষে বলা যায় দুই একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ছাড়া সম্পূর্ণ শান্তি শৃঙ্খলভাবে প্রতিমা বিসর্জনের কাজ সম্পন্ন করেছে সনাতন স্থানীয় ধর্মাবলম্বীরা।