শ্রমিকদের কারনেই আরাম-আয়েশে জীবন-যাপনঃপ্রধানমন্ত্রী

    0
    209

    আমারসিলেট24ডটকম,ফেব্রুয়ারীঃ বস্তিতে যে শ্রমজীবী মানুষ থাকে তারাই তো আসল শ্রমজীবী। তাদের তো সুস্থভাবে থাকার ব্যবস্থা আমরা করে দিতে পারি। শহরের পাশে নিম্নবিত্ত শ্রমজীবী মানুষের আবাসন প্রয়োজন। বড়লোকদের জন্য ফ্ল্যাট বানালেই কি হয়? গরিব মানুষের জন্যও আবাসন প্রয়োজন। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে এ উদ্যোগ নিতে হবে। আজ রবিবার সকালে সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়ের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নির্দেশ দেন।

    প্রধানমন্ত্রী নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, যারা বড়লোক তারা বড়লোক হচ্ছে তো হচ্ছেই। রাজা-রাজরানা হচ্ছেন। আর তাদের পাশের নিম্ন আয়ের মানুষগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছে। তা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের লক্ষ্যই শ্রমিকদের জীবনমানের উন্নয়ন। তাদের জন্যই আমরা সকলে আরাম-আয়েশে জীবন-যাপন করছি।
    প্রধানমন্ত্রী শ্রম সংশ্লিষ্ট আইনগুলো বাস্তবায়ন, শ্রম আদালতের মাধ্যমে শ্রম ক্ষেত্রে সুবিচার নিশ্চিত করা এবং শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নসহ তাদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন।
    শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক উন্নয়নে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো শক্তিশালী করার কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের ৪টি শিল্প সম্পর্কে শিক্ষায়তনের মাধ্যমে শ্রমিক, শ্রমিক নেতৃবৃন্দ, মালিক প্রতিনিধি ও শ্রম সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিনিধিদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। রফতাণি পণ্যের গুণগত মান এবং উৎপাদন ক্ষেত্রে ও কর্মপরিবেশ বিশ্বমানের পর্যায়ে উন্নীত করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সহযোগিতায় বেটার ওয়ার্ক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার শ্রমিক-মালিক আইনগত সম্পর্ক সহায়তা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ১২টি নতুন আইন ও নীতি প্রণয়ন এবং বিদ্যমান আইন সংশোধন ও অনুমোদন করেছে। দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে মোট ৩০টি শ্রম কল্যাণ কেন্্র সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এসব কেন্দ্রের মাধ্যমে শ্রমিকদের অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতনমূলক প্রশিক্ষণ, বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ সরবরাহ, প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সেবা, পরিবার কল্যাণ ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে পরামর্শ ও উপকরণ সরবরাহ, খেলাধুলা ইত্যাদি সেবা দেয়া হচ্ছে। দেশের ১৬৫টি চা বাগানে কর্মরত কর্মচারী ও শ্রমিকদের কল্যাণে শ্রম অধিদফতরের অধীনে চা-শিল্প শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের কার্যক্রম চলছে। বর্তমানে মালিক ও শ্রমিকদের চাঁদা ও লভ্যাংশ মিলিয়ে এ তহবিল প্রায় ২০৬ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। উপকারভোগীর সংখ্যাও লাখ ছাড়িয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত শ্রমিকদের কল্যাণে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমানে ফাউন্ডেমনের তহবিলে প্রায় ৬ কোটি টাকা জমা আছে। এছাড়া অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য একটি গ্রুপবীমা স্কিম চালু করা হয়েছে, যার ৬৬ শতাংশ অর্থ কল্যাণ তহবিল থেকে দেয়া হচ্ছে।