শ্রমআইন বাস্তবায়নের দাবিতে হোটেল শ্রমিকদের বিক্ষোভ

    0
    249

    আমারসিলেট24ডটকম,২৫নভেম্বরঃ সরকার ঘোষিত নিন্মতম মজুরি কার্যকর, পরিচয়পত্র, নিয়োগপত্র প্রদান, ৮ ঘন্টা কর্মদিবসসহ শ্রম আইন বাস্তবায়নের দাবিতে মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ ২৩০৫-এর উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। গত ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬ টায় শহরের চৌমুহনাস্থ কার্যালয় হতে মিছিলটি বের হয়ে সেন্ট্রাল রোডে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল পূর্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় সভাপতিত্ব করেন মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ ২৩০৫-এর সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামাল। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস, হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এখলাছুর রহমান সোহেল, রিকশা শ্রমিক সংঘের সভাপতি সোহেল আহমেদ, হোটেল শ্রমিকনেতা প্রানেশ বিশ্বাস সুমন, রুহুল আমিন, ইউছুফ মিয়া প্রমূখ। সভায় বক্তারা বলেন দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ২০০৯ সালের ২৪ নভেম্বর সরকার হোটেল শ্রমিকদের জন্য নিন্মতম মজুিরর গেজেট প্রকাশ করেন। এরপর ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল সরকার ঘোষিত গেজেট ও শ্রম আইন বাস্তবায়নের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ রেঁস্তোরা মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশনের মধ্যে লিখিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অথচ হোটেল মালিকরা সরকারী আইন ও চুক্তি লঙ্ঘন করে বেআইনী কর্মকান্ড চালালেও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এব্যাপারে নির্বিকার। শ্রমিকরা তাদের আইনসঙ্গত অধিকার বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপ-শ্রম পরিচালক, শ্রম পরিদর্শক, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি, ব্যবসায়ী সমিতি ও হোটেল মালিক সমিতিসহ সংশ্লিষ্টদের বার বার লিখিতভাবে আবেদন নিবেদন করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। উপরন্তু শ্রমিকদের ন্যায় সঙ্গত দাবিকে দমন করার জন্য মালিকরা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামালসহ নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করে চলছেন। সভায় বক্তারা অবিলম্বে হোটেল সেক্টরে সরকার ঘোষিত নিন্মতম মজুরি ও শ্রম আইন কার্যকর, সর্বস্তরে রেশনিং চালু, শ্রীমঙ্গলে স্থায়ী শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠা, গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রনয়ণ এবং মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি: নং চট্ট: ২৩০৫ এর সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামালসহ নেতৃবৃন্দের উপর থেকে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।