শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দূর্বার আন্দোলন

    0
    224

    আমার সিলেট  24 ডটকম,০৮নভেম্বরঃ রুশ বিপ্লবের ৯৪-তম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা শাখা আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন ১৯১৭ সালের ৭ নভেম্বর কমরেড লেনিনের নেতৃত্বে বলশেভিক পার্টি রাশিয়ায় সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সম্পন্ন করে মানুষ কর্তৃক মানুষকে শোষণের শোষণমূলক সমাজ উচ্ছেদ করে শোষণহীন সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করে। পৃথিবীতে দাস সমাজ থেকে পুঁজিবাদী সমাজ পর্যন্ত সমাজ বিকাশের ক্রমধারায় বিভিন্ন স্তরে শ্রেণী শোষণের রূপের পরিবর্তন ঘটলে ও মানুষ কর্ত্বক মানুষের উপর শোষণ অব্যাহত ছিল। রুশ বিপ্লবের মধ্যে দিয়েই পুজিঁবাদী সামরাজ্যবাদী শোষণমূলক ব্যবস্থার বিপরীতে শোষণহীন সমাজতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়। একারণেই রুশ বিপ্লবের তাৎপর্য বিশ্ব শ্রমিকশ্রেণীর নিকট মহিমান্বিত। ৭ নভেম্বর বিকেলে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সভাপতি মোঃ নুরুল মোহাইমীনের সভাপতিত্বে চৌমুহনাস্থ কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় বক্তারা উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের জেলা সম্পাদক রজত বিশ্বাসের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কৃষক সংগ্রাম সমিতি মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি কবি শহীদ সাগ্নিক, ধ্রুবতারা সাংস্কৃতিক সংসদ জেলা সাধারণ সম্পাদক অমলেশ শর্ম্মা, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ কমলগঞ্জ উপজেলা কমিটির অন্যতম নেতা মৃগেন চক্রবর্তী, হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের জেলা সহ-সভাপতি মোঃ আজিজ মিয়া, রিক্সা শ্রমিক সংঘের জেলা সভাপতি সোহেল আহমেদ, জাতীয় ছাত্রদলের জেলা আহবায়ক নূর মোহাম্মদ তারাকী ওয়েছ, কৃষক সংগ্রাম সমিতির জেলা কমিটির সদস্য ডা: অবনী শর্ম্মা, হোটেল শ্রমিকনেতা সুমন বিশ্বাস, কিসমত মিয়া, শাহজাহান মিয়া প্রমুখ।

    সভায় বক্তারা আরও বলেন সাম্রাজ্যবাদের পরিকল্পনায় ক্ষমতা ও গদি নিয়ে দালাল দল ও জোটগুলোর মধ্যে যে কামড়াকামড়ি চলছে তাতে জনগণের কোন লাভ নেই। বাংলাদেশের শ্রমিক-কৃষক-জনগণ সামরাজ্যবাদী পরিকল্পনায় ক্ষমতার পালাবদলের এই খেলায় জিম্মি। সামরাজ্যবাদ ও তার দালালদের শোষণ-শাসনে শৃঙ্খলিত জনগণ গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠায় দিনাতিপাত করছেন। তারা এই দুঃসহ শোষণ-লুন্ঠন ও নৈরাজ্যিক অবস্থা থেকে মুক্তি চায়। এসময়ে সংলাপ ও সমঝোতার মধ্যে দিয়ে নির্বাচন; সমঝোতাবিহীন একক নির্বাচন বা এতে প্রধান বিরোধী দলকে আসতে বাধ্য হওয়া; বিরোধীদলের হরতাল-অবরোধ-অসহযোগ ইত্যাদি কর্মসূচি মাধ্যমে চাপ সৃস্টির করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়ে নির্বাচন করতে বাধ্য করা; সংঘাতজনিত পরিস্থিতিতে সামরিক সরকার ইত্যাদি বিভিন্ন সম্ভাবনার দিক আলোচিত হচ্ছে। কিন্তু এর কোনটাতেই জনগণের কোন লাভ নেই।

    সামরাজ্যবাদের এক দালালের পরিবর্তে আরেক দালাল এবং এক সারাজ্যবাদের পরিবর্তে আরেক সামরাজ্যবাদ আসলে জনগণের কোন লাভ নেই। জনগণের মুক্তির পথ হল জনগণের তিন শত্রু সামরাজ্যবাদ, সামন্তবাদ ও আমলা-দালাল পুঁজি ও তাদের স্বার্থরক্ষাকারী স্বৈরাচারী সরকার ও রাষ্ট্রকে জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লবের মাধ্যমে পরিবর্তন সাধন করে শ্রমিক-কৃষক-জনগণের সংবিধান সভা, সরকার ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। এ ভিন্ন মুক্তি আর কোন পথ নেই। তাই আসুন রুশ বিপ্লবের চেতনায় সামরাজ্যবাদ ও তার দালাল এবং স্বৈরাচারী সরকার বিরোধী সকল সংগঠন, শক্তি ও ব্যক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে দূর্বার আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তুলি ।