শেষ পর্যন্ত মহাজোটেই সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ

    0
    220

    আমার সিলেট  24 ডটকম,২০অক্টোবরঅনেক জল্পনা কল্পনার শেষ পর্যন্ত মহাজোটেই থাকার কথা জানালেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মুহম্মদ এরশাদ।রবিবার সন্ধ্যার পর প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বসভবন গণভবনে শেখ হাসিনার নিমন্ত্রনে নৈশভোজে যোগদান করতে গিয়ে এ ঘোষণা দিলেন তিনি। এ নৈশভোজেন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা বৈঠক করেছেন তিনি। এর আগে আজ রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে ১৫ সদস্যের একটি বড় প্রতিনিধি দল নিয়ে তিনি গণভবনে যান। সেখানে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সাথে রাত ৯টা পর্যন্ত বৈঠক করেন। নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দেয়ার পর এটাই মহাজোটের শরীক কোন দলের শীর্ষ নেতার সাথে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বৈঠক।
    তার আগে আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গণভবনে পৌঁছালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, হাছান মাহমুদ ও ফারুক খান এরশাদ ও জাতীয় পার্টির ওই প্রতিনিধি দলকে অভ্যর্থনা জানান।
    এদিকে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে সাধারণ সম্পাদক আশরাফ ছাড়াও ছিলেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফরউল্লাহ, মতিয়া চৌধুরী, ওবায়দুল কাদের, হোসেন তৌফিক ইমাম, আলাউদ্দিন আহমেদ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ফারুক খান, হাছান মাহমুদ, মৃণাল কান্তি দাস, আবদুস সোবহান গোলাপ এবং প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিক।
    আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্য জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ধারাবাহিকভাবে শরিক এবং অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করবে। তারই অংশ হিসাবে জাতীয় পার্টির সঙ্গে তিনি বৈঠক করলেন। আজকের বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এইচ এম এরশাদের সাথে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। তিনি আশ্বস্ত করেছেন- তার দল মহাজোটেই থাকবে।
    এ সময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছাড়াও নৈশভোজে অংশ নেয়া অন্য নেতারা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদ, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, বাণিজ্য মন্ত্রী জিএম কাদের, মোস্তফা জামাল হায়দার, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ব্রিগেডিয়ার (অব.) কাজী মাহমুদ হাসান, জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, কাজী ফিরোজ রশিদ, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, ফকির আশরাফ, আবু হোসেন বাবলা, এসএম ফয়সল চিশতী ও মেজর খালেদ (অব.)। অবশ্য রওশন এরশাদের অংশ নেয়ার কথা থাকলেও তিনি আসেননি।
    উল্লেখ্য গত শুক্রবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করে তাতে অংশ নিতে আন্দোলনরত বিএনপির প্রতিও আহ্বান জানান। শেখ হাসিনার এ ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় পার্টি জানায়, সর্বদলীয় সরকার গঠনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব স্পষ্ট হয়নি। পক্ষান্তরে মহাজোটে থাকলেও বেশ কিছুদিন ধরেই এরশাদ জোট ছাড়ার কথা বলে আসছেন। সে ঘোষণা যথাসময়ে দেয়া হবে বলে জানিয়ে আসছেন তিনি। নির্বাচন নিয়ে দুই প্রধান দলের পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েও নানা বক্তব্য দিচ্ছেন তিনি। এতে দেশ গৃহযুদ্ধের দিকে যাচ্ছে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন।