শেষ পর্যন্ত জাকির নায়েকের ৫১কোটি রুপির সম্পদ বাজেয়াপ্ত

    0
    213

    বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে ভারতের কথিত ধর্ম প্রচারক জাকির নায়েক ও তার পরিবারের সদস্যদের ১৬ কোটি ৪০ লাখ রুপির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে সেদেশের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই নিয়ে তৃতীয়বার জাকির নায়েক ও তার আত্মীয়দের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। তার বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির মূল্য প্রায় ৫১ কোটি রুপি। সুত্রঃ এনডিটিভি।

    ইডির বিবৃতিতে বলা হয়, জাকির ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক অবৈধ আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ফলে প্রথমে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার একটি সাময়িক নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

    মুম্বাইয়ের ফাতিমা হাইটস, আফিয়া হাইটস-সহ ভান্ডুপ এলাকায় একটি বেনামী প্রজেক্টে জাকিরের আত্মীয়দের বিনিয়োগ রয়েছে বলে জানতে পারেন ইডির তদন্তকারীরা। পুনেতে এনগ্রাসিয়া নামের একটি প্রজেক্টের সঙ্গেও তারা যুক্ত, বলছে ইডি।

    তদন্তকারীরাদের দাবি, প্রথমে অর্থ লেনদেন করা হত জাকিরের নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে। কিন্তু পরে তদন্ত শুরু হতেই সেই অর্থ জমা করা হয় জাকিরের স্ত্রী, ছেলে, ভাগ্নের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। মূলত তদন্তকারীদের চোখে ধুলো দিতে এই প্রচেষ্টা করা হয়।

    ভারতের ইউএপিএ আইনে ২০১৬-তে জাকিরের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৭-র অক্টোবরে মুম্বাইয়ের একটি আদালতে জাকির ও অন্যদের বিরুদ্ধে চার্জশিটও দায়ের করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ।

    আদালতে তদন্তকারীগণ বলেন, “ইসলাম ধর্মের নামে ইচ্ছাকৃতভাবে উগ্রবাদ ছড়াতেন জাকির। ধর্মীয় ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন আপত্তিকর ভাষণ দিত সে৷ এমনকী, তার সংগঠন ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন ও পিস টিভি, এ ধরনের কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিল।”

    জাকির নায়েকের প্রতিষ্ঠান পিস টিভি ও ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারত ও বাংলাদেশের সরকার। পরে দেশ ছেড়ে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান তিনি। তাকে দেশে ফেরানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরেই মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।সুত্রঃইত্তেফাক