শীতে গ্লিসারিন চমৎকার স্কিন ময়েশ্চারাইজার

    0
    226

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৬জানুয়ারী,ডেস্ক নিউজঃ গ্লিসারিন একটি জৈব উপাদান যা কার্বন, অক্সিজেন ও হাইড্রোজেনের সমন্বয়ে গঠিত। এটি বর্ণ ও গন্ধহীন ঘন তরল। গ্লিসারিন পানিতে দ্রবণীয়, মিষ্টি স্বাদের ও অবিষাক্ত। সাবান থেকে শুরু করে অ্যান্টি এজিং জেল পর্যন্ত সব কিছুতেই ব্যবহার হয় গ্লিসারিন। ত্বকের জন্য গ্লিসারিনের কিছু ব্যবহার হল-

    -ক্লিঞ্জার হিসেবে ব্যবহার করা যায়

    -টোনার হিসেবে ব্যবহার করা যায়

    -এটি চমৎকার স্কিন ময়েশ্চারাইজার

    -হাতকে মসৃণ করে

    -ত্বকের পানি ধরে রাখতে সাহায্য করে

    -কোষের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে

    -তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা যেমন- ব্রণ ও ব্ল্যাকহেডস নিরাময়ে সাহায্য করে

    -শিশুদের ত্বকে ও সংবেদনশীল ত্বকে ব্যবহার করা যায়

    -পা ফাটা দূর করতে সাহায্য করে

    -কিছু ক্ষেত্রে সানস্ক্রিনের মত কাজ করে

    -ত্বকের বর্ণ হালকা করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যাওয়া রোধ করে

    -গ্লিসারিন ত্বককে নমনীয় ও কোমল করে

    -নেইল পলিশ উঠানোর পর নখের উপরে গ্লিসারিন লাগালে নখের শুষ্ক হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ হয়

    -ক্ষত, ব্রণের দাগ বা পুড়ে যাওয়া ত্বকে সরাসরি গ্লিসারিন লাগালে দাগ দূর হয়

    -শুষ্ক ত্বকের জন্য গ্লিসারিন দামী ক্রিম বা পার্লারের ট্রিটমেন্টের চেয়েও ভালো

    -বলিরেখার ফলে সৃষ্ট ফাঁকগুলো পূরণ করে গ্লিসারিন, তাই ত্বকের তারুণ্য বজায় থাকে

    চলুন গ্লিসারিন ব্যবহারের উপায়গুলো জেনে নিই –

    ১। কোমল ত্বকের জন্য

    ১ টেবিল চামচ গ্লিসারিনের সাথে ১০ টেবিল চামচ পানি মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই মিশ্রণটি হাতে ম্যাসাজ করুন। সকালে হাত ধুয়ে ফেলুন।

    ২। অ্যান্টি এজিং ট্রিটমেন্টের জন্য

    একটি পাত্রে ১টি ডিমের সাদা অংশ নিয়ে এর সাথে ১ চামচ মধু মিশান। তারপর এর সাথে ১ চামচ গ্লিসারিন দিয়ে ভালোভাবে মিশান। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে আঙ্গুল দিয়ে বৃত্তাকারে ও উপরের দিকে চেপে চেপে ম্যাসাজ করুন। এরপর ২০ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।  ডিমের সাদা অংশ অপদ্রব্য দূর করে এবং ত্বককে পরিষ্কার ও নরম করে।

    ৩। টোনার হিসেবে

    এক কাপের এক চতুর্থাংশ পরিমাণ গ্লিসারিনের সাথে দেড় কাপ গোলাপজল মিশান। মিশ্রনটি একটি স্প্রে বোতলে ভরে নিয়ে ব্যবহার করুন।

    ৪। ময়েশ্চারাইজার

    একটি পাত্রে ২০০-২৫০ মিলিলিটার গ্লিসারিন নিয়ে এর মধ্যে ২ টেবিলচামচ তাজা লেবুর রস মিশান।ভালোভাবে মিশিয়ে মিশ্রণটি একটি কাঁচের বোতলে রাখুন। রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকে লাগান।

    ৫। ক্লিঞ্জার

    ৩ চা চামচ দুধের সাথে ১ চা চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে সারারাত রাখুন। আপনি চাইলে হাত ও পায়েও লাগাতে পারেন। সকালে ধুয়ে ফেলুন।

    ৬। ব্রণের চিকিৎসায়

    ১ টেবিলচামচ গ্লিসারিনের সাথে আধা টেবিলচামচ বোরাক্স পাউডার ও কর্পূর মিশান। এর সাথে এক কাপ বিশুদ্ধ পানি ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে মিশ্রণটি মুখে লাগান ও কিছুক্ষণ পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আবার কিছুক্ষণ পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।

    ৭। ব্ল্যাকহেডস দূর করতে

    এর জন্য মুলতানি মাটি, আমন্ড পাউডার ও গ্লিসারিন প্রয়োজন হবে। একটি পাত্রে ১ টেবিলচামচ মুলতানি মাটির সাথে ২ টেবিলচামচ গ্লিসারিন ও ৪ টেবিলচামচ আমন্ড পাউডার নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট ব্ল্যাকহেডস এর উপর লাগান এবং শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

    ৮। শুষ্ক ত্বকের চিকিৎসায়

    একটি ছোট পাত্রে ১ টেবিলচামচ ভ্যাসেলিন ও গ্লিসারিন নিয়ে ভালোভাবে মিশান। মিশ্রণটি আপনার মুখে ও শরীরে লাগিয়ে রাখুন সারারাত।

    ৯। খুশকি দূর করে

    গ্লিসারিনে ছত্রাক নাশক উপাদান থাকে বলে মাথার তালুর চুলকানি ও খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। এসেনশিয়াল ওয়েলের সাথে কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন মিশিয়ে মাথার তালুতে ও চুলে লাগান। চুলের ফাটা রোধে সাহায্য করে গ্লিসারিন, ফলে চুল বড় হয়। চুলকে মসৃণ করতেও সাহায্য করে গ্লিসারিন।

    ভেজিটেবল গ্লিসারিন ভেজিটেবল ওয়েল(উদ্ভিজ তেল, পাম ওয়েল বা নারিকেল তেল) থেকে উৎপন্ন হয়। এটি কসমেটিক প্রোডাক্ট তৈরিতে, খাদ্যে ও অ্যালকোহলের পরিবর্তে হারবাল ও বোটানিক্যাল আরক হিসেবে ব্যবহার হয়।

    প্রতিদিন গ্লিসারিন ব্যবহারে আপনার ত্বক আর্দ্র থাকবে, উজ্জ্বল ও দাগহীন হবে।