শীতের আগমনী বার্তায় আক্কেলপুরে লেপ তৈরির ধুম

    0
    351

    নিশাত আনজুমান,আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি: শীতের আগমনী বার্তার সাথে পাল্লা দিয়ে জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে শীত নিবারণের উপকরণ লেপ-তোষক তৈরি। উপজেলা সদরসহ প্রতিটি এলাকার কারিগররা শীত জেকে বসার আগেই এখন লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পারকরছেন। শীত মানেই প্রশান্তির ঘুমের জন্য সবচেয়ে উপযোগী ঋতু।

    উপজেলা জুড়ে শীতের অনেকটা আমেজ শুরু হয়েছে। ভোররাতে হালকা ঠান্ডা আর সকালের মৃদুু শীত শীত ভাব বলে দিচ্ছে দরজায় কড়া নাড়ছে শীতের আগমনী বার্তা। সেই সাথে ভোরের মিষ্টি রোদে মাঠের সবুজ ঘাসের গায়ে লেগে থাকা শিশির বিন্দুর ঝলকানি শীতের সকালের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে আক্কেলপুর বাসীকে।

    আমাদের দেশ ৬ ঋতুর বাংলাদেশে শীতের আগমনী বার্তা শীত কালে হওয়ার কথা থাকলেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তা ঋতুর সাথে তাল মিলছে না। গ্রাম বাংলায় আজও প্রবাদ আছে আশ্বিনে গা করে শিনশিন। কিন্তু প্রকৃৃতির লীলা খেলায় কার্তিক মাসের শেষ ভাগে সকাল হলেই ঘন কোয়াশার আচ্ছন্ন আর শীতের আমেজ দেখা যাচ্ছে। আবার সূর্য উঠার কয়েক ঘন্টার পরেই রোদের তাপে শীত কোয়াশা দুর হয়ে গরমে ঘাম ঝড়ছে এই এলাকার মানুষের। এদিকে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে প্রায় সারা রাত ধরেই মাঝারী ধরণের শীতের কারণে অনেক বাসা-বাড়িতে শীত নিবারণের জন্য হালকা কাঁথা ও কম্বল ব্যবহার শুরু হয়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে শিশু ও বৃদ্ধদের শীতজনিত নানা ধরণের রোগের পার্দুভাব দেখা দিয়েছে বলে ভ’ক্তভোগীরা জানান।

    সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কনকনে শীত জেকে বসার আগেই তা মোকাবেলা করার জন্য অধিকাংশ হাট বাজারের লেপ তোষকের কারিগর ও পাড়া-মহল্লার মানুষ বাড়িতে বাড়িতে লেপ-তোষক তৈরি করছে। দিন যতই গড়াচ্ছে শীত ততই বেশি পড়ার আশংকায় উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষেরা নতুন নতুন লেপ তৈরি করছে।

    লেপ তৈরির কারিগররা শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে অর্ডার নিলেও যথা সময়ে সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছে। লেপ-তোষক অর্ডার দিতে আশা মানুষের তারাহুরার কারণে উপজেলার বাজারের জামালগঞ্জ বাজার, আক্কেলপুর বাজার, তিলেকপুর বাজার, গুপিনাথপুর বাজার, কাশিরাবাজার শোরুমের ফাঁকা জায়গায় ক্রেতাদের উপস্থিত আর কারিগরদের ধুনুক দিয়ে তুলা ফাটানোর সরগরমেই যেন বলে দিচ্ছে লেপ-তোষক তৈরির ধুম পড়েছে।

    আগমনী শীতের কারণে তুলার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি শিমল তুলা ২শত ৭০ টাকা থেকে ২শত ৯০ টাকা, মিলের তুলা ৪৫ টাকা, কারপাস তুলা ১শত ৫০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় শ্রেণী ভেদে তুলার দাম মিল মালিকেরা বেশি নিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

    উপজেলার লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা জানান, আমাদের পার্শ্ববর্তী উপজেলায় তুলার মিল স্থাপনের পর থেকে আমাদের ব্যবসার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। তুলা, কাপড়, সুতা ও অন্যান্য উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ৪/৫ হাত মাপের মিলের তুলা দিয়ে তৈরি লেপ ১ হাজার ৫০ টাকা এবং তোষক ৮শত ৫০ টাকার মত খরচ পড়ে। আমাদের তেমন লাভ না হলেও পেশার তাগিদে এই কাজ করে আসছি।