শিশু আবু সাঈদকে নির্মম হত্যাকান্ডের বর্ননা দিলেন কনেস্টবল

    1
    274

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৬মার্চঃ স্কুল ছাত্র আবু সাঈদকে (৯) হত্যাকান্ডের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে পুলিশ কনেস্টবল এবাদুর রহমান। রোববার দুপুরে পুলিশ কনস্টেবল এবাদুরসহ ৩ জনের আদালতে হাজির করা হয়। পরবর্তীতে সিলেট মহানগর আদালতের বিজ্ঞ বিচারক শাহেদুল করিম পুলিশ কনস্টেবল এবাদুরের জবাবন্দি নেন।

    আবু সাঈদ
    আবু সাঈদ

    গত বুধবার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে রায়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র  শিশু সাঈদকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর সাঈদের বাবা ও মামার কাছে ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। এরপর সাঈদের পরিবার কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করে, যার নং-৫৬১।
    নিহত সাঈদের মামা জয়নাল আবেদিন জানান, অপহরণকারীরা প্রথমে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। আমরা এতো টাকা দেয়ার সামর্থ্য নেই বলে জানাই। পরে তারা ২ লাখ টাকা দিতে বলে।
    টাকা নিয়ে হযরত শাহজালাল(রহ.) মাজার শরীফে যেতে বলা হয়। আমরা টাকা নিয়ে সেখানে যাই। সেখানে পৌঁছানোর পরে ফোন করে আমাদেরকে বাইশটিলা এলাকায় যেতে বলা হয়। সেখানে যাওয়ার পর তারা আবার ফোন করে বলে, কেন ঘটনাটি পুলিশকে জানিয়েছি। সাঈদকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়ে ফোন রেখে দেয় তারা।’

    মোবাইলটি সিলেট মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানার কনস্টেবল এবাদুলের বলে জানতে পারে পুলিশ।
    শনিবার থানায় জরুরি কাজ আছে বলে কনস্টেবল এবাদুলকে ডেকে আনা হয়। প্রথমে অস্বীকার করলেও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে এবং সাঈদকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানায়।
    এবাদুলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে তার বাসা থেকে সাঈদের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। নগরীর কোর্ট এলাকা থেকে র‌্যাবের সোর্স গেদা মিয়াকে এবং বন্দরবাজার থেকে জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রকিবকে আটক করা হয়।
    সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোঃ রহমত উল্লাহ বলেন, এবাদুল, গেদা ও আব্দুর রকিব এ তিনজনই অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের হোতা। তারা সব স্বীকারও করেছে।
    আদালত সূত্রে জানা যায়, পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর স্কুল ছাত্র সাঈদকে অপহরণ করে আটকে রাখার পর ৫লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ না পাওয়ার জন্য সাঈদকে হত্যা করা হয়।
    উল্লেখ্য নিহত আবু সাঈদ (৯) নগরীর শাহমীর(রাঃ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র । নগরীর রায়নগর দর্জিবন্দস্থ বসুন্ধরা-৭৪ নং বাসায় বসবাস করতো। নগরীর ঝর্ণার পাড় সুনাতলা এলাকায় বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল এবাদুর রহমানের ৩৭ নং বাসার ৩য় তলা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।