শিশুদের মেধা বিকাশে ভূমিকা রাখছে মুহিবুর রহমান একাডেমী

    0
    300

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৫নভেম্বর,ডেস্ক নিউজঃ আয়মান আল মুহাইমিন ও ইছরাত জাহান। দুজনেই বাংলা মিডিয়ামের ৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। বছরের শেষ ক্লাস পার্টিতে দুজনেই সঞ্চালনা করছিল। কিন্তু সঞ্চালনা শুনে বুঝার উপায় নেই যে, দুজনে মাত্র ক্লাস ফোরের ছাত্র। এমনই মেধাবী শিক্ষার্থী তৈরি করছে মুহিবুর রহমান একাডেমী। বৃহষ্পতিবার বছরের শেষ ক্লাস পার্টির চিত্র এটি।

    নগরীর ৪৫ পায়রা, দর্শনদেউড়ি এলাকায় অবস্থিত মুহিবুর রহমান একাডেমীর বছরর শেষ ক্লাসের দিন ইংরেজী ও বাংলা মাধ্যমের ছাত্র-ছাত্রীদের স্ব-হস্তে তৈরি করা এক চারু ও কারুকলার প্রদর্শনী এবং ইয়ার এন্ডিং ক্লাশ পার্টি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীদেরকে পুরষ্কৃত করা হয়। পৃথক পৃথক ক্লাস পার্টিতে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায়- নাচ, গান, আবৃতি, কৌতুক ও ইসলামী সংগিত মুগ্ধ করে অতিথিদের। একাডেমির চারু ও কারুকলা গ্রুপ আয়োজিত বর্ণিল এ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ অভিভাবকদের পদচারণায় একাডেমি প্রাঙ্গন এক মিলন মেলায় পরিণত হয়। অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মুহিবুর রহমান একাডেমি সেজেছিল নানান রং বেরঙের ফেস্টুন ও প্লেকার্ডে।

    বাংলা মিডিয়ামের ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্র মেহেদী হাসান দীপ্ত ওসমানী মেডিকেল স্কুলের ছাত্র ছিল। সে জানায়- আমি স্কুল পরিবর্তন করে এখানে আসার পর অনেক কিছু শিখেছি। বিশেষ করে আমাদের ক্লাসে স্টুডেন্টদের তিনটি ভাগে ভাগ করে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। তিনটি গ্রুপের নামও রাখা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সাথে মিল রেখে। ৫২, ৬৯, ৭১। এটি একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান। আমি এখানে না পড়লে হয়তো বুঝতেই পারতাম না।

    তুমি কি জন্য স্কুলে আসো? প্লের স্টুডেন্ট মারিয়া’র কাছে এমন প্রশ্ন করা হলে সে জানায়, স্কুলে আসতে আমার ভালো লাগে। আমি অন্য বাবুদের সাথে খেলতে পারি।

    পৃথক এসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মেট্টপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও এডিসি মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহাব। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মুহিবুর রহমান বুলবুল, ইডেন গার্ডেন কলেজের অধ্যক্ষ, এ এন এম ইয়াহইয়া, দৈনিক যুগান্তরের ব্যুরো প্রধান সংগ্রাম সিংহ, মুহিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোঃ মুহিবুর রহমান, তার সহধর্মীনি সালমা খানম চৌধুরী।

    অনুষ্ঠান আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন একাডেমির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম এবং বাংলা বিভাগের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মিজানুর রহমান। সিনিয়র শিক্ষক আব্দুস শহিদ চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক আসাদুজ্জামান এবং সৈয়দা রুবিনা ফেরদৌস জেবিনসহ একাডেমির শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।