শিমলা চুক্তি মতে পাকিস্তানের চিহ্নিতদের বিচারপ্রক্রিয়া

    0
    261

    আমারসিলেট24ডটকম,২৬জানুয়ারীঃ শিমলা চুক্তির ব্যঘাত না ঘটলে একাত্তর সালের অপরাধের জন্য পাকিস্তানের চিহ্নিত সেনা কর্মকর্তাদের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।আজ রবিবার বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে অতিরিক্ত জেলা জজ ও সেশন জজদের জন্য এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধন শেষে আইনমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল একদম স্বাধীন। তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন, আমি গতকাল জানতে পেরেছি, ১৯৫ জন যাদের ১৯৭৩ সালে চিহ্নিত করা হয়েছে তাদেরকে বিচারের একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
    তিনি বলেন, আমার যেটা কর্তব্য বলে আমি মনে করি, শিমলা চুক্তির মাধ্যমে যে ১৯৫ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল তাদের বিচারে সে চুক্তির কোনো ব্যঘাত ঘটবে কি-না। আনটিল অ্যান্ড আনলেস আই গেট দিস ক্লারিফিকেশন, আমি এটার ওপর আর কিছু বলতে চাই না।
    তিনি বলেন, এই চুক্তি সংসদে পাস আর না পাসের কিছু নেই। এই চুক্তি কিন্তু কার্যকরি হয়ে গেছে। কারণ এই চুক্তির আওতায় যাদের ছাড়ার, তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এখন আমাকে যেটা দেখতে হবে, সেটা হলো এই চুক্তি কার্যকরের পরও আমরা এটা করতে পারি কি-না। মন্ত্রী বলেন, ইন অ্যাবসেন্সে (অনুপস্থিতিতে) বিচার করারতো একটা পদ্ধতি আছেই। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইন-১৯৭৩ এবং তার সকল সংশোধনীতে তারা এই বিচার করতে পারেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
    অন্যদিকে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাকারীদের বিচারের বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, আমরা এটা নিয়ে আলাপ আলোচনা করছি। আমার মনে হয়, যেই অপরাধগুলো সংগঠিত হয়েছে, সেই অপরাধ কিন্তু স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্টের যে ধারাগুলো আছে, তার মধ্যে পড়ে। এ ক্ষেত্রে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার করা সম্ভব হবে।
    প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য পাকিস্তানের চিহ্নিত সেনা কর্মকর্তাদের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ জন্য তদন্তপ্রক্রিয়া শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। ১৯৭৪ সালে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় যে ১৯৫ জন তালিকাভুক্ত যুদ্ধবন্দি পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল তাদেরই বিচারের মুখোমুখি করা হবে।খবরকালের   কণ্ঠ।