শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল গঠনের দাবী

    0
    241

    বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ শফিউল আলম বলেছেন, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংসদ নির্বাচন স্থগিত থাকায় ছাত্ররাজনীতি কলুষিত হচ্ছে এবং উপযুক্ত নেতৃত্ব সৃষ্টি হচ্ছে না। ছাত্রসংসদ নির্বাচন নিয়মিত হলে দেশে ছাত্ররাজনীতির সুষ্ঠু পরিবেশ যেমন নিশ্চিত হতো তেমনি দেশের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য যোগ্য ও নিবেদিত নেতা পাওয়া যেত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদের প্রতিনিধিত্বশীল নির্বাচিত সংসদ থাকলে যৌন নিপীড়নের ঘটনাও ঘটতো না। তিনি অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও মাদরাসায় ছাত্রসংসদ নির্বাচন দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।

    বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা সরকারী হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ শাখার কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর আওতাধীন সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ শাখার প্রতিনিধি সম্মেলন ও কাউন্সিল আজ ১৫ এপ্রিল সোমবার সকাল ১০টায় চেরাগীপাহাড়স্থ সুপ্রভাত স্টুডিও হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছাত্রনেতা মুহাম্মদ তৌহিদুল হকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ শফিউল আলম। উদ্বোধক ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের নির্বাহী সদস্য মুহাম্মদ আনোয়ার পারভেজ শিকদার।

    প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর সহ সভাপতি ছাত্রনেতা মুহাম্মদ ফোরকান রেজা। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সদস্য সৈয়দ মুহাম্মদ লিয়াকত আলী, বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের শিক্ষা প্রশিক্ষণ সম্পাদক হাফিজ মুহাম্মদ আবদুল হামিদ রজভী , ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ মাছুমুর রশিদ কাদেরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, মুহাম্মদ সাইফুল আলম, মুহাম্মদ শিহাব উদ্দীন। নির্বাচন কমিশনার ছিলেন মহানগর উত্তর ছাত্রসেনার সাংগঠনিক সম্পাদক ছাত্রনেতা মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন। বিশেষ বক্তা ছিলেন ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সদস্য ছাত্রনেতা মুহাম্মদ আহমদুল হক।

    হাফেজ মুহাম্মদ আতিকুল্লাহ ও মুহাম্মদ আজাদ হোসেনের যৌথ স ালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন মুহাম্মদ জুবাইদুর রায়হান, মোরশেদুল আলম, মহসিন রেযা, কাজী শাহেদ, জাহাঙ্গীর, আইনান, ওমর ফারুক, নঈমুদ্দীন প্রমুখ। পরে সর্বসম্মতিক্রমে হাফেজ মুহাম্মদ আতিকুল্লাকে সভাপতি, মুহাম্মদ আজাদ হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক ও শাহেদকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৩১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কাউন্সিলে বক্তারা বলেন, বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। যৌন নিপীড়ন রোধে ও নিপীড়কদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিতের লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখতে হবে। প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিনিধি নিয়ে যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল গঠনের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।