শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দের দাবিতে ছাত্রসেনার মানববন্ধন

    0
    290

    “২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দের দাবিতে ছাত্রসেনার মানববন্ধনে নঈম উল ইসলাম”

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৮মেঃ আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী শিক্ষাখাতে বরাদ্দ দিতে হবেবাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উল ইসলাম বলেছেন, বাজেট একটি দেশের সম্ভাব্য আয়-ব্যয়ের খতিয়ান। এ কারণে এটি যেন ভারসাম্যমূলক, কার্যকর ও দেশের সার্বিক উন্নয়নে ইতিবাচক সুফল বয়ে আনে, তা নিশ্চিত করতে হবে সবার আগে।

    দেশ যেহেতু উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে তাই দেশকে উন্নতির পথে নিতে হলে অনুৎপাদনশীল খাতের চেয়ে উৎপাদনশীল খাতে বরাদ্দ-ব্যয় বাড়াতে হবে। আর শিক্ষা খাত হলো সবচেয়ে বেশি উৎপাদনশীল ও টেকসই খাত। তাই এ খাতে অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে এবং বরাদ্দকৃত অর্থের সুষ্ঠু ব্যয় নিশ্চিত করতে হবে।

    তিনি শিক্ষাখাতে মোট জাতীয় আয়ের ৮ ভাগ ও ৩০ শতাংশ বরাদ্দের দাবি জানান। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর এর উদ্দ্যোগে আজ ১৮ মে সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্ত্বরে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দের দাবিতে মানবন্ধনে তিনি উপর্যুক্ত মন্তব্য করেন। চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ছাত্রসেনার সভাপতি মুহাম্মদ মাছুমুর রশিদ কাদেরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের স ালনায় মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর সভাপতি জননেতা নঈম উল ইসলাম।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ইসলামী ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম, আবদুল করিম সেলিম, নগর উত্তর যুবসেনার সভাপতি যুবনেতা জসীম উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল মোস্তফা সিদ্দিকী। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার সভাপতি ছাত্রনেতা এইচ এম শহীদুল্লাহ।

    মানববন্ধনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নগর উত্তর ছাত্রসেনার শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক ছাত্রনেতা ফোরকান রেজা। মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রসেনার সাবেকসহ সভাপতি ছাত্রনেতা মঈনউদ্দিন কাদেরী, চ.বি সেনা সাধারণ সম্পাদক ছাত্রনেতা মামুনুর রশিদ, নগর উত্তর ছাত্রসেনার সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, মুহাম্মদ এহসান, মুহাম্মদ ফোরকান রেজা, মুহাম্মদ মঈনউদ্দিন কাদেরী, আদনান তাহসিন আলমদার, হাবিবুল্লাহ আরাফাত, মুহাম্মদ বাবর আলী, মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, মুহাম্মদ আবদুস সাত্তার, মুহাম্মদ সরওয়ার আলম, মুহাম্মদ মাহমুদুল ইসলাম, মুহাম্মদ আবদুল কাদের, মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ, এম এইচ আরমান, মুহাম্মদ সাব্বির হোসেন, আবু সায়েম কাইয়ুম প্রমুখ।

    মানবববন্ধনে বক্তারা বলেন, বর্তমানে ফেল কড়ি-খাও লাড্ডু টাইপের শিক্ষাব্যবস্থার কারণে শিক্ষার পণ্যায়ন হয়েছে। লাগামহীন শিক্ষাবাণিজ্য ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিবর্তে দ্বিগুণ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়ে সরকার শিক্ষাকে সম্পূর্ণরূপে বাণিজ্যিক রূপ দিয়েছে। এতে করে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের শিক্ষার সুযোগ সংকুচিত হয়েছে।

    বক্তারা, ইউনেস্কো ঘোষণা অনুযায়ী শিক্ষাখাতে বরাদ্দ প্রদানের দাবি জানিয়ে বলেন, শিক্ষা আর প্রযুক্তিকে একীভূত না করে শিক্ষাকে স্বতন্ত্র খাত উল্লেখ বরাদ্দ দিতে হবে। পাশাপাশি গবেষণাকর্মকে উৎসাহিত করতে ও জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর করে টেকসই মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি-ভোকেশনাল ও গবেষণা খাতে আলাদা বরাদ্দ প্রদানের দাবি জানান।