শিক্ষকদেরকেও পড়াশোনা করতে হবেঃরাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

    0
    236

    অষ্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ “কিশোরগঞ্জ জেলার কৃতি সন্তান,ভাঁটি অঞ্চলের “ভাঁটির রত্ন” বলে খ্যাত,প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা গণ মানুষের প্রিয় হামিদ ভাই দেশের মহান রাষ্ট্রপতি  আলহাজ্জ মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, প্রতিটি শিক্ষার্থীর মাঝে দেশপ্রেম ও সততা থাকতে হবে। যাতে তারা শিক্ষিত হয়ে দেশের সেবা করতে পারে। তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে। মেধাবী শিক্ষার্থী তৈরি করতে হলে শিক্ষকদেরকেও পড়াশোনা করতে হবে। বেশি বেশি জানতে হবে। তাহলেই শিক্ষার্থীরা জানতে পারবে, তারা আলোকিত হবে।

    রাষ্ট্রপতি আরও বলে বলেন, বর্তমান যুগ প্রতিযোগিতার যুগ। এখানে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হবে। সে অনুযায়ী পড়াশোনা করতে হবে। এ প্রতিযোগিতা শুধু দেশের ভিতরেই নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে।

    রাষ্ট্রপতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মিঠামইনে তার পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত হাজী তায়েব উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। তিনি শিক্ষার্থীদেরকে ভালোভাবে পড়াশোনা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভালো ফলাফল ছাড়া কোনো কাজ করা যাবে না। যেনতেনভাবে পাস করলেই চলবে না। শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে টিকে থাকতে হবে।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশ শিক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে। সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে চীনে, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, তৃতীয় অবস্থানে ভারত আর বাংলাদেশ রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর পরিমাণ প্রায় ৩০ লাখের উপরে বলে তিনি জানান। তাই সরকারের উচিত দেশে কর্মসংস্থানে পরিবেশ সৃষ্টি করা। সরকার তা করে যাচ্ছে।

    হাজী তায়েব উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক নূরুর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের এমপি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আমির হোসেন, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল সরোয়ার হোসেন, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, মিঠামইন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সহিদ ভুঁইয়া, হাজী তায়েব উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র বৈষ্ণব, মিঠামইন সদর ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ কামাল প্রমুখ।

    এর আগে দুপুরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলটি মিঠামইন বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় বিদ্যালয় মাঠে এসে শেষ হয়।