শাল্লায় সেচ প্রকল্পের নামে বাড়িতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ

    0
    212

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৪এপ্রিল,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ  সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের কবলে পড়ে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের দুর্ভোগের শেষ নেই। হাওরের জমিতে পানি দেওয়ার জন্য সেচ প্রকল্পের নামে বাড়িতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছেন উপজেলার নওয়াগাও গ্রামের মাখন লাল দাসের ছেলে পীযুষ কান্তি দাস।

    তিনি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় ভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে নিজ বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। হাওরের কৃষকদের জন্য জমিতে পানি দেওয়ার জন্য যে ট্রান্সফরমার বসানো হয়েছে ওই ট্রান্সফরমার থেকে পীযুষ দাস তার বাড়িতে লাইন টেনে নিয়ে সংযোগ স্থাপন করলেও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্তকর্তা ও কর্মচারীরা যেন দেখেও না দেখার ভান করছেন।

    কৃষি জমিতে সেচ প্রকল্পের বিলের মাধ্যমে নিজের বাড়িতে বিদ্যুতের আলো জ্বালাচ্ছেন তিনি। অবৈধভাবে এই সংযোগ স্থাপন করায় শাল্লা উপজেলায় অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর এসব প্রতিকারে স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা নির্বিকার। জানা যায়, দিরাই-শাল্লা বিদ্যুৎ সংযোগ লাইনটি ১৯৯২ সনের জুন মাসে তৎকালীন  স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রয়াত জাতীয় নেতা  সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত উদ্বোধন করেছিলেন। প্রায় ২২ বছর পাড় হলেও সেই মান্দাত আমলের পুরাতন লাইনটির খুটি ও তাঁরগুলো এখন বাকা হয়ে মাটিতে পরার উপক্রম হয়েছে। আর এই কারনে প্রায়ই ঘটছে র্দুঘটনা। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কথা প্রায় সময় উপজেলার বাজারে ব্যবসায়ীগন দিরাই বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে জানালেও  কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা। ফলে বাধ্য হয়েই তারা নিজ তাগিদে বাজার থেকে নিজ টাকায় উপকরণ এনে লাইনটির কাজ করে বিদ্যুৎ স্বছল রাখছেন । লোডশেডিং ও অবৈধ সংযোগের কারনে প্রকৃত গ্রাহকগন অতিষ্ট। দিরাই বিদ্যুৎ সাবষ্ট্রেশন চালু হওয়ার পরে, শাল্লায় প্রতিনিয়ত যে পরিমান বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় তা শাল্লা সদর, অফিস পাড়া, ঘুঙ্গিয়ারগাঁও, ডুমরা গ্রামের সঠিক গ্রাহকদের জন্য যতেষ্ট ছিল। কিন্তু কতিপয় অসাদু ব্যক্তিদের যোগসাজসে অবৈধ সংযোগের কারনে সঠিক সেবা থেকে বি ত হচ্ছেন প্রকৃত গ্রাহক। বিদ্যুতের ভূতুড়ে বিলে মরার উপর খারার ঘাঁ, বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। এতে করে প্রকৃত বিদ্যুৎ গ্রাহক যেমন প্রতারিত হচ্ছে, তেমনি সরকারের উপর এর বিরুপ প্রভাব পড়ছে।

    অভিযুক্ত পীযুজ দাসের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিয়ে সংযোগ পাওয়া যায়নি। এ ব্যপারে শাল্লা উপজেলা চেয়ারম্যান গনেন্দ্র সরকারের সাথে ফোনে কথা হলে, তিনি নিজেই শাল্লার বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমি প্রায় সময় বিদ্যুতের বিষয়ে দিরাই বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে সমস্যার সমাধান করি। তবে এর স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে শাল্লায় একটি সাব অফিস করা খুবই প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন অবৈধ সংযোগের ব্যাপারে দিরাই আরি অবগত আছে। তাদের ভাগ বাটোয়ারার মধ্য দিয়েই অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ চলছে।

    এই ব্যাপারে দিরাই সাব অফিসের আরি আওলাদ হোসেন বলেন, শাল্লা উপজেলার পীযুষ দাসের বিরুদ্ধে সিলেট অফিসে অভিযোগ গেছে। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে সেচ প্রকল্পের নামে বাড়িতে অবৈধ বিদ্যুুৎ সংযোগ নিয়েছে। আর এই লাইনের কোনো অনুমতি দেইনি। অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।