শাল্লায় পাউবোর এসও উৎকোচসহ পিআইসির বাড়িতে আটক

    0
    278

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৩মার্চ,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:   সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় কর্মরত পাউবো’র এসও শমসের আলী উপজেলার প্রতিটি পিআইসির সভাপতির নিকট থেকে উৎকোচের মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। যা নীতিমালার পরিপন্থি। পিআইসির বাজেট বাড়ানো ও নীতিমালা অনুযায়ী কাজ না করার শর্তে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) এর সভাপতিদের বাড়িতে গিয়ে প্রতি রাতে উৎকোচ বিনিময় করেন।

    গতকাল শুক্রবার রাত ১০ টায় উপজেলার আনন্দপুর মাদারিয়া বাঁধের সভাপতি নীতিরঞ্জন রায়ের বাড়িতে উৎকোচসহ এসও শমসের আলীকে হাতে নাতে আটক করেন হবিবপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুব্রত সরকার ও সাংবাদিক বিপ্লব রায়। এসময় এসওকে এতরাতে  িপআইসির বাড়িতে কেন প্রশ্ন করা হলে কোনো উত্তর দিতে পারেননি। তবে ঘরের ভেতরে পিআইসির সভাপতি নীতিরঞ্জন রায় মাদারিয়া বাঁধে বরাদ্দকৃত টাকা দিয়ে সঠিকভাবে কাজ না করার জন্য রাতে তার বাড়িতে এনে এসও শমসের আলীর পকেট ভারি করে দিলেন উৎকোচ দিয়ে।

    এছাড়াও হাঁসের মাংস, মুরগির মাংস দিয়ে পেট ভোজনের আয়োজন করা হয়। এসও শমসের আলীর বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ আছে পিআইসিদের ওয়ার্ক অর্ডার দেয়ার সময় ১০ হাজার করে টাকা প্রতিটি পিআইসিদের কাছ থেকে রাখা হয়েছে। গত বছরও পাউবো’র কর্মকর্তা ও পিআইসিদের ভাগবাটোয়ার হরিরলুটে কৃষকেরা সোনার ফসল হারিয়ে নি:স্ব হয়ে একটি বছর অভাব অনটনে কাটান। যার ফলে সরকার নতুন নীতিমালা প্রনয়ন করে হাওর রক্ষা বাঁধের জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। হাওররক্ষা বাঁধের জন্য এই বছর জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থাকেলও শাল্লা উপজেলায় এসও শমসের আলীই সবকিছু। উনি নিজের ইচ্ছেমত টাকার বিনিময়ে পিআইসি গঠন করে। যে জায়গায় চার লাখ টাকার প্রয়োজন সে জায়গায় পিআইসিদের কাছ থেকে উৎকোচ নিয়ে এগার লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে দেন।

    এরই প্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার রাতে মাদারিয়া বাঁধের বরাদ্দ বাড়ানোর লক্ষে সভাপতি নীতিরঞ্জন রায়ের বাড়িতে খাবারের আয়োজন করা হয়। এবং সভাপতি নীতিরঞ্জন রায়  এসও শমসের আলীর হাতে উৎকোচ তোলে দেন মাদারিয়া বাঁধের বরাদ্দকৃত টাকার বাজেট বাড়ানোর জন্য। তবে এসও শমসের আলীকে প্রতিরাতে পিআইসিদের বাড়িতে কেন প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান দাওয়াত খাওয়ার জন্য তাদের বাড়িতে যান। উৎকোচ নেয়ার বিষয়টি সুনামগঞ্জ পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক ভূইঁয়াকে জানানো হলে তিনি জানান এসও শমসের আলীকে পুলিশে দেয়ার জন্য।

    শাল্লা থানা ওসি দেলোয়ার হোসেনকে এই বিষয়ে অবগত করা হলে তিনি জানান ইউএনও স্যার আমাদেরকে নির্দেশ দিলে আমরা এসও শমসের আলীকে আটক করতে পারব। এই বিষয়ে ইউএনওর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও উনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে পাউবো’র নির্বাহী প্রকোশলীও জানান এসওকে গ্রেফতার করার জন্য আমি ইউএন’র সাথে যোগাযোগ করি। ইউএনও ফোন রিসিভ করেননি। এসওর উৎকোচের বিষয়টি উপজেলা প্রকল্পের যাচাই বাছাই কমিটির সদস্য সুবল চন্দ্র দাসকে জানানো হয়। তিনি বলেন এত রাতে এসও পিআইসির বাড়িতে কিসের জন্য যাবেন। আর পিআইসিদের সাথেই কেন উনার যোগসুত্র থাকবেন। তবে এই বিষয়টা রহস্যজনক। আমি ঢাকা থেকে এসে উপজেলা কমিটিকে অবগত করবো।