শার্শায় শিক্ষক সমিতির আন্দোলনের পাঠার বলি নিরীহ শিক্ষক

    0
    186

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৮ডিসেম্বর,এম ওসমান, বেনাপোল : শার্শায় শিক্ষক সমিতির আন্দোলন বুমেরাং এ পরিণত হয়েছে। শিক্ষক সমিতির আন্দোলনের পাঠার বলি হলো রঘুনাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান। ২০১৬ সালের প্রাথমিক স্কুলের সমাপনী পরীক্ষা চলাকালে বজলুর রহমান ছিলেন বেনাপোল স্কুল কেন্দ্রের ১৪ নং কক্ষে। ঐ দিন বিজ্ঞান প্রথম পত্র পরীক্ষার সময় ছাত্র ছাত্রীদের প্রশ্ন উত্তর বলে দেওয়ার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আকর্ষিক হল পরিদর্শনে এসে স্বচক্ষে প্রতক্ষ্য করেন।

    এ সময় কেন্দ্র সচিবের নির্দেশে হল সুপার বজলুর রহমানকে হাতে নাতে গ্রেফতার করে নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়িতে করে উপজেলায় নিয়ে আসে। বজলুর রহমানের আটকের প্রতিবাদে ঐ কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ও শিক্ষক সমিতির অনির্বাচিত সভাপতি ইজ্জত আলীর নেতৃত্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অপসারণ দাবি ও বজলুর রহমানকে মুক্ত না করে ঘরে না ফেরার মাস ব্যপী আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষনা করেন।

    এ ঘটনায় ৮০% শিক্ষক আন্দোলন না করার পক্ষে মত দিলে সাধারণ শিক্ষকদের হুমকি ধামকি ও অন্যত্র বদলীর ভয়ভিতী দেখিয়ে শিক্ষক নেতা ইজ্জত আলী গং সকল শিক্ষকদেরকে একত্রিত করতে থাকে।

    সাধারণ শিক্ষকরা জানেনা যে, শিক্ষক নেতা ইজ্জত আলী বজলুর রহমানের ঘটনার বিষয়ে লিখিত দেওয়ার কারনেই বজলুর রহমানকে হলসুপার দায়িত্ব থেকে অব্বহতি ও ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী অফিসার আব্দুস সালাম।

    এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক মহোদয় মানবিক কারণে শিক্ষক বজলুর রহমানকে তাৎক্ষনিক ভাবে জামিন প্রদান করা সত্তেও তারা আন্দোলন অব্যহত রাখে। গত শনিবার শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মহা পরিচালকের নির্দেশে এক সদস্যের গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্ত করেছেন।

    এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, বজলুর রহমানের জামিনের বিষয়টি প্রায় এক মাস অতিবাহিত হলেও মামলাটি চুড়ান্ত নিষ্পত্তি (খালাস) না করে শিক্ষক নেতাদের আন্দোলনের জের ধরে হল সুপার বজলুর রহমানকে সাময়ীক বরখাস্তের জন্য সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট মামলার নথি প্রেরণ করা হয়েছে। একই সাথে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষক নেতা ইজ্জত আলী গংদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও সরকারী আইনে আচরণ বিধি লংঘনের অভিযোগ এনে শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক বরাবর পত্র দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন শিক্ষা অধিদপ্তর নিয়ম বর্হিভূত ভাবে তদন্ত  করেছেন। বিষয়টি জুডিশিয়াল বিভাগের তদন্ত করার কথা।

    এ ব্যাপারে শিক্ষক সমিতির অনির্বাচিত সভাপতি ইজ্জত আলী বলেন, আমি এখন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শনের জন্য ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। এ বিষয়ে কোন তথ্য জানতে হলে উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক ওসমান গনি মুকুল’র সাথে যোগাযোগের কথা বলেন।