শার্শায় নিষিদ্ধ ঘোষিত গাইড বই’র রমরমা ব্যবসা

    0
    165

     প্রাথমিক ও কিন্ডার গার্ডেন শিক্ষকদের সহায়তায়

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১০মার্চ,বেনা‌পোল থেকে এম ওসমান: যশোরের শার্শা উপজেলার ১২৬টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৩৯টি কিন্ডার গার্টেনে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত সহায়ক বই খ্যাত হিসাবে গাইড বই এর রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে প্রকাশনী সংস্থা। সংস্থার সাথে শার্শা উপজেলার কতিপয় শিক্ষক নেতা ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সহযোগীতায় কোমলমতি শিশুদের কাধে তুলে দিচ্ছেন বাজারের কেজি দরের বিক্রয় যোগ্য এ সকল গাইড বই। প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীর হিসাব করে গড় আনুপাতিক হার অনুযায়ী প্রধানদের প্রকাশনী সংস্থার কর্মকর্তারা প্রতিষ্ঠানে বা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বাসায় উপস্থিত হয়ে ১০/২০’হাজার টাকা হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ ও শ্রেণী শিক্ষকগণ প্রকাশনী সংস্থার নিকট থেকে নগদ অর্থ ও উপহার সামগ্রী গ্রহণ করে ২য় শ্রেণী থেকে ৮ম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের এসব নিষিদ্ধ গাইড বই কেনার জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন।

    উপজেলার নাভারণ, বেনাপোল, বাগআঁচড়া, জামতলা ও শার্শা সদরসহ ছোট বড় বিভিন্ন বাজারে ২০টি লাইব্রেরীতে প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত এ সকল গাইড বই বিক্রয় করছে। অত্র অ লের সাধারণ মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে অবস্থানে থেকে দিন মজুরী খেটে অর্থ উপার্জন করে। তাদের পক্ষে নিজেদের সংসার চালিয়ে অধিক মূল্যে গাইড বই কিনে তাদের সন্তানদের লেখাপড়া চালিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। নি¤œ আয়ের অভিভাবকেরা এখন এসব প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শ্রেণী শিক্ষকের কাছে হয়ে পড়েছে জিম্মি। এরপরও বাধ্য হয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শ্রেণী শিক্ষকের চাপে পড়ে উচ্চ মূল্যের এসব নিষিদ্ধ গাইড বই কিনতে হচ্ছে। ২য় শ্রেণী থেকে ৭ম শ্রেণী পর্যন্ত গাইড বইগুলির মধ্যে রয়েছে আশার আলো, লেকচার, পাঞ্জেরী, জুপিটর, আদিল, দিগন্ত, ক্যামব্রিয়ান, গ্লোবাল, অনুপম, ক্লাস ফ্রেন্ড, এ্যাপোলো, সংসদ, ক্যাপ্টেন, জননী, সুপার ও ছাত্র কন্ঠ। এ সকল নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের চার্টলিষ্ট ও মূল্য তালিকা প্রস্তুত করে প্রকাশ্যে প্রত্যেক লাইব্রেরীর সামনে ঝুলিয়ে লাইব্রেরীর মালিকগণ বিক্রয় করছে।

    শার্শা উপজেলায় ১৩টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ,৭ম ও ৮ম শ্রেণীতে উন্নীত হওয়ার সুবাদে স্ব-ঘোষিত ও অনির্বাচিত প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কতিপয় নেতাদের নের্তৃত্বে ২য় শ্রেণী থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত চলছে গাইড বই বিক্রয়ের নির্দেশনা। এই ১৩টি প্রতিষ্ঠানে নতুন করে শুরু হয়েছে  নিষিদ্ধ সুপার গাইড বই বিক্রয়ের হিসাব নিকাশ। ক্ষমতাধর শিক্ষক নেতা, প্রকাশনী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান প্রধানরা কেজি দরের বিক্রয়যোগ্য নিষিদ্ধ গাইড বই ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিক্রয় করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তৃপক্ষ প্রশাসনিক ভাবে নিষিদ্ধ গাইড বই বিক্রয় সংক্রান্ত কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় পার পেয়ে যাচ্ছেন ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গরা।

    এ বিষয়ে যশোর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাপস কুমার অধিকারী বলেন, নিষিদ্ধ গাইড বই সংক্রান্ত ব্যাপারে কোন শিক্ষক জড়িত থাকলে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।