শততম দিনে করোনা শনাক্ত ৯০হাজারে,মৃত্যু হাজার ছাড়িয়ে

    0
    242

    জহিরুল ইসলাম,নিজস্ব প্রতিবেদক: সারা দেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৯৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৩৮ জন। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইনে প্রেস ব্রিফিংয়ে আজ সোমবার এ তথ্য জানানো হয়। সব মিলিয়ে দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯০ হাজার ৬১৯ জনের। আর মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২০৯ জনের। নতুন মারা যাওয়া ৩৮ জনের মধ্যে পুরুষ ৩২ জন ও নারী ৬ জন। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শততম দিন পূরণ হয়েছে। আর এ শততম দিনে দেশে সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্তের সংখ্যা ৯০ হাজার ছাড়াল।

    ব্রিফিংয়ে বলা হয়, যাঁরা বাসায় থেকে সুস্থ হয়েছেন, তাঁদের সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগ করা হয়েছে। তাই আজ এটি অনেক বেড়ে গেছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত সর্বমোট ৩৪ হাজার ২৭ জন সুস্থ হয়েছেন।

    আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ৫৩৬ জনকে। একইসময় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৯৫ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে গেছেন ১৫ হাজার ৮৪৪ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৮১৮ জন।

    বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ২৬ জন। কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছেন দুই হাজার ৯২২ জন।

    একইসময় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন হাজার ৬৭ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন মোট তিন লাখ ২৩ হাজার ৩৫৮ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ ৬১ হাজার ৬৮৯ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬১ হাজার ৬৬৯ জন। সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে সেবা প্রদান যায় বলে জানানো হয় বুলেটিনে।

    বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর’র হটলাইনে কল এসেছে এক লাখ ৬৫ হাজার ১৮৮টি। এ নিয়ে এ পর্যন্ত হটলাইনে এক কোটি ১৩ লাখ ১০ হাজার ৮২০ জনকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এসব কলে সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা বেড়েছে আরো ছয়জন। এ নিয়ে এখন মোট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬ হাজার ৩৪৯ জনে।

    এ ছাড়া বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে হটলাইনে চার হাজার ২১৭ জন চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানানো হয় বুলেটিনে। ব্রিফিংয়ের তথ্যমতে, ১৫ হাজার ৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। এর আগের দিন ১৪ হাজার ৫০৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৫ লাখ ১৬ হাজার ৫০৩টি নমুনা।

    অনলাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা তিনি বলেন, করোনার ঝুঁকি এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে সবাইকে অনুরোধ করেছেন প্রতিদিন অনেকেই সংক্রমিত হয়ে মারা যাচ্ছেন। স্বাস্থ্যকর্মীরাও সেবা দিতে গিয়ে সংক্রমিত হচ্ছেন এবং মারা যাচ্ছেন। ক্ষতি এড়াতে সবাই সতর্ক থাকুন।

    এ ছাড়া জোনভিত্তিক লকডাউনের বিষয়টি ওয়েবসাইটে বিস্তারিত দেওয়া আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। দেশে ৫৮টি ল্যাবে (পরীক্ষাগার) নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা আসে। আর গত ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।