লোহাগড়ার মুজিব বাহিনীর কমান্ডার খসরুজ্জমানের ইন্তেকাল

    0
    210

    নড়াইল প্রতিনিধিঃ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন লোহাগড়া থানা মুজিব বাহিনীর কমান্ডার, নড়াইল-২ আসনের আওয়ামীলীগের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ খসরুজ্জমান  ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাজে—– রাজেউন)।

    বুধবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকার আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অসুস্থ্যতাজণিত কারনে তিনি ইন্তেকাল করেন।  মৃুত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে সহ  অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

    বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) সকাল ১০টায় খুলনার খালিশপুর বাসভবন এলাকায় প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর জোহরবাদ লোহাগড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাযা এবং বাদ আছর নিজ গ্রাম একই উপজেলার বাবরা গ্রামে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা গার্ড অব অনার প্রদান শেষে ৩য় জানাযার পর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

    শরীফ খসরুজ্জামান দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক বিভিন্ন জটিল রোগে ভূগছিলেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে । বেশ  কয়েকদিন আগে তিনি ঢাকার আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

    শরীফ খসরুজ্জমান দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন। তিনি আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে ১৯৯১ সালের ৫ম এবং ১৯৯৬ সালের ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। অনেকটা সুনামে সাথে তিনি দায়িত্ব পালন করেন।  পরে দলীয় কোন্দল এবং মনোনয়ন বি ত হয়ে ২০০৭ সালে বাতিল হওয়া নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। বিএনপিতে যোগদানের পর তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যপদ লাভ করেন।

    শরীফ খসরুজামান লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের বাবরা গ্রামের সম্ভ্রান্ত শরীফ পরিবারে জন্মগ্রহণ কনে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশকে হানাদারমুক্ত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তিনি লোহাগড়া থানা মুজিব বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে পাকবাহিনীকে পরাস্ত করে ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত করেন। এরপর ১০ ডিসেম্বর নড়াইল মুক্ত করেন।

    এদিকে বীরমুক্তিযোদ্ধা শরীফ খসরুজ্জামানের মৃত্যুতে বিএনপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন সহ বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করা হয়েছে।