আল-কায়েদার শীর্ষ নেতা প্রয়াত ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হামজা বিন লাদেনের নাগরিকত্ব বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। শুক্রবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
হামজা বিন লাদেন ক্রমশ জঙ্গি নেটওয়ার্কের গুরুত্বপূর্ণ নেতা হয়ে উঠছেন বলে আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্র। হামজাকে ধরিয়ে দেয়ার তথ্য দিতে যুক্তরাষ্ট্র ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করার পরপরই তার নাগরিকত্ব বাতিলের ঘোষণা দেয় সৌদি সরকার।
২০১৫ সালে আল কায়েদার মুখপাত্র হিসেবে জঙ্গি অডিও ও ভিডিও বার্তা প্রকাশ করা শুরু করেন হামজা বিন লাদেন। বর্তমানে তার অবস্থান সর্ম্পকে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
ধারণা করা হয়, ১৯৮৯ সালে আল-কায়দার শীর্ষ নেতা লাদেন জন্মগ্রহণ করেন, যে বছর সোভিয়েত থেকে আফগানিস্তানকে বাদ দেয়া হয়। তার বাবা মুজাহিদীন যোদ্ধাদের মধ্যে পরিচিতি লাভ করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।
১৯৯৮ সালে কেনিয়া ও তানজানিয়ার অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে বোমা হামলা, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক ও পেন্টাগত ভয়াবহ হামলার জন্য ওসামা বিন লাদেনকে অভিযুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র।
২০১১ সালে পাকিস্তানে একটি গোপন আস্তানায় লুকিয়ে থাকা লাদেনকে হত্যা করে মার্কিন সেনাবাহিনী।
১৯৯৪ সালে সুদানে নির্বাসিত অবস্থায় থাকা ওসামা বিন লাদেনের নাগরিকত্ব বাতিল করে সৌদি আরব। সেসময় হামজা বিন লাদেনে শিশু ছিলেন।
বর্তমানে আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী হামজা তার বাবা হত্যার জন্য মার্কিন বাহিনীর ওপর প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এপি/ইউএনবি