লাইন দিয়ে গরু আনি-বিজিবি পুলিশ ধরবে না

    0
    222

    রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর সিলেট প্রতিনিধিঃ সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা সীমান্ত দিয়ে বানের পানির মত ভারতীয় গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব, জনসাধারনের ফসল বিনষ্ট, যেন দেখার কেউ নেই। সংশ্লিষ্ট বিজিবি ও পুলিশ প্রশাসন নিবর ভূমিকায়। চোরাকারবারীরা বলছে লাইন দিয়ে গরু আনি, পুলিশ বিজিবি ধরবে না।
    সরেজমিনে জৈন্তাপুর উপজেলা বিভিন্ন সীমান্ত ঘুরে জানাযায়- বিজিবি, পুলিশ, ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য এবং গ্রাম্য মাতব্বরদের সম্মানী দিয়ে ভারত হতে গরু সহ ভারতীয় পন্য সামগ্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুর, মোকামপুঞ্জি, আসামপাড়া, মিনাটিলা, কেন্দ্রি, কেন্দ্রি হাওর, ডিবিরহাওর, ফুলবাড়ী, খলারবন্দ, ঘিলাতৈল, টিপরাখলা, কমলাবাড়ী, গোয়াবাড়ী, বাইরাখেল, জালিয়াখলা, কালিঞ্জি, লালখাল বাগান, আফিফানগর চা বাগান, বাঘছড়া, গঙ্গারজুম, তুমইর ও ইয়াংরাজা দিয়ে ভারতীয় গরু, মহিষ এবং ইয়াবা সহ মাদকের চালান বাংলাদেশে বানের পানির মত প্রবেশ করছে। এলাকাবাসী আরও জানায় সম্প্রতি চোরাকারবারীদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেন গরুর ও মাদকের চালান আটকে বাঁধা সৃষ্টি করে তাৎক্ষনিক তাদের কাছে গরু সহ মালামাল বুঝে দিবে এবং বিজিবি-পুলিশ-র‌্যাব কাছে সংবাদ দিয়ে মাদক মামলায় গ্রেফতার করাবে বলে হুমকীদেয় এলাকাবাসীকে। এলাকাবাসীর দাবী লালাখাল এলাকায় বিজিবি স্পোশাল বাহিনীর হাতে ২০টি গরু ধরিয়ে দেওয়ার কারনে সংবাদদাতাকে ইয়াবা সহ আটক করে র‌্যাব-৯। তারা আরও জানায় ভারত হতে গরু আমদানী করছেন- হরিপুরের বহিস্কৃত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ, আওয়ামীলীগ নেতা রফিক আহমদ, লোদাই হাজী, আনোয়ার হোসেন, দরবস্ত ইউনিয়নের মানিকপাড়া গ্রামের বিলাল উদ্দিন, আব্দুল মন্নান, কেন্দ্রী ঝিঙ্গাবাড়ী আহমদ আলী, আজাদ মিয়া, এখলাছ মিয়া, সুলেমান মিয়া কন্টু, ডিবিরহাওর কদমখাল গ্রামের হারুন মিয়া, জসিম উদ্দিন, আব্দুল হান্নান, ইউছুফ আলী, রুপচেং গ্রামের আব্দুল মন্নান, নাজিম উদ্দিন, মোকামপুঞ্জির আনোয়ার হোসেন, গৌরী শংকর গ্রামের লালা মিয়ার ছেলে পারভেজ আহমদ, মোঃ আব্দুল্লাহ, কাউসার আহমদ, রশিদ আহমদ, টিপরাখলা গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে আমিন মিয়া, খোকন মিয়ার ছেলে আল আমিন, যশপুর গ্রামের আলী আজগরের ছেলে নুর আলম, বাইরাখেল গ্রামের আব্দুল গফুর, আতিকুর রহমান, মোহাম্মদ আলী, গোয়াবাড়ী গ্রামের নজরুল ইসলাম, রুহুর আমিন, আশিক আহমদ, নয়াখেল পূর্ব বালীদাঁড়া গ্রামের আব্দুল লতিবের ছেলে খায়রুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলামের ছেলে শাহজাহান, ভিত্রিখেল চারিকাটা গ্রামের হোসাইন আহমদ, ইমরান হোসেন, মানিকপাড়া গ্রামের হেলাল উদ্দিন, কালিঞ্জিবাড়ী গ্রামের রহিম উদ্দিন, লালাখাল গ্রামের জালাল উদ্দিন, সেলিম আহমদ, সাহাব উদ্দিন, রুহুল আমিন।
    উপজেলার সব কয়েকটি পথে চোরাকারবার নিয়ন্ত্রন করেন আব্দুর রশিদ, রফিক আহমদ, লোদাই হাজী, আনোয়ার হোসেন, বিল্লাল উদ্দিন, আহমদ আলী, সুলেমান কন্টু, পারভেজ, মোঃ আব্দুল্লাহ, হারুন মিয়া, আনোয়ার হোসেন, জসিম উদ্দিন, জালাল উদ্দিন, সেলিম আহমদ, ইমরান হোসেন অন্যতম।
    এলাকার প্রবীণ মুরব্বী আবুল হোসেন, জুনেদ আলী, কালা মিয়া, এবাদুর রহমান, মোস্তফা মিয়া, শাহেদ আহমদ, গোলাম সরওয়ার বেলাল, সহ প্রায় ২শাধিক ব্যক্তির সাথে আলাপকালে তারা জানান- সরকার করিডোর বন্দ করার ফলে রাজস্ব হারাচ্ছে, গরু আমদানী বন্ধ হয়নি বরং বৃদ্ধি পেয়েছে, চেরাই পথে গরু আমদানীর করনে এলাকার রাস্তাঘাট, সাধারন মানুষের ফসলাদী বিনষ্ট হচ্ছে, সাধারন মানুষের গরু চুরি বৃদ্ধি পাচ্ছে, আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা রহস্যজনক কারনে অকার্যকর হয়ে পড়েছে। একশ্রেনীর লুটেরা চক্র বিজিবি ও পুলিশের সাথে আতাত করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। তারা আরও বলেন ভারতীয় গরু আমদানীতে সাধারণ জনগনের সমস্যা নেই। করিডোর বন্ধ করায় সরকার রাজস্ব বি ত হচ্ছে মাত্র। এছাড়া গরুর পাশাপাশি ব্যাপক হারে উপজেলা জুড়ে ইয়াবা, হিরোইন, মদ মাদক, ভারতীয় আমদানী নিষিদ্ধ নাছির বিড়ি, বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট, গাড়ীর যন্ত্রাংশ ও মটর সাইকেল আমদানী হচ্ছে। ফলে অপরাধ জগতে ঢুকে পড়ছে য়ুব সমাজ। করিডোর চালু করলে সরকার পাবে রাজস্ব, সুনির্দিষ্ট পথে প্রবেশ করবে ভারতীয় গরু, গ্রামীন রাস্তাঘাট সহ সাধারন মানুষের ফসলের ক্ষতি সাধিত হবে না। সর্বপরি উপজেলায় মাদক ও মাদকজাত দ্রব্য সামগ্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করবে না। তারা দ্রুত করিডোর চালু দাবী জানান।
    এবিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিৎ কুমার পাল বলেন- আগামী আইন শৃংঙ্খলা পরিষদের সভায় বিষয়টি উত্তাপন করা হবে। করিডোর চালুর বিষয়ে উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে অবহিত করা হবে।