লন্ডনে মাহবুব-মকিস-রানা প্যানেলের সংবাদ সম্মেলন

    0
    321

    “বিজয়ী হলে ১০হাজার সদস্যও ভবন প্রতিষ্ঠার ঘোষণা”

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২২ফেব্রুয়ারিঃ    আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারী রবিবার ওল্ডহ্যামে গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল (জিএসসি)এর জাতীয় নির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উক্ত নির্বাচনে ৩৫টি পদে ২টি প্যানেলে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন ৭০জন প্রার্থী। নির্বাচনে মাহবুব-মকিস-রানা পরিষদ চেয়ার প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করছে। গত ২০ ফেব্রুয়ারী প্যানেলের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময় উক্ত প্যানেলের প্রার্থী ছাড়াও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে চেয়ার প্রতিকের প্রার্থীরা তাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মকিস মনছুর আহমদ, বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরদেন সভাপতি প্রার্থী নুরুল ইসলাম মাহবুব, মুক্তিযোদ্ধা এম এ মন্নান, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাইয়ুম কায়ছার, নিজাম উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা কায়ছার সৈয়দ, ড. মুজিবুর রহমান, আশরাফ মিয়া, শেখ শাহজাহান তারফদার, হেলেনা ইসলামসহ অনেকে।
    এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, বেলাল হোসেন, আব্দুর রহিম রঞ্জু, আব্দুল বাছিত রফি, আছকর আলী, লিয়াকত আলী, কদর উদ্দিন, আবুল হাসনাত, নুরুল ইসলাম, সাবিনা চৌধুরী, সুফিয়া খানম, ফারুক মিয়া, সৈয়দ মিসবাউল করিম প্রমুখ।
    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে যা বলা হয়:
    গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার আমাদের প্রতিদ্বন্ধি প্যানেলের (আতা-খসরু-সালেহ পরিষদের ) পক্ষ থেকে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে প্রচারিত একটি লিফলেটে কিছু বিষয়ে অসত্য ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে । এছাড়া সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অসত্য তথ্য প্রদান করে বক্তব্য দেয়া হয়েছে। সংগঠনের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমরা সাংগঠনিক ফোরামের বাইরে বক্তব্য প্রদান করতে চাই নাই। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলের পক্ষ থেকে যেসব বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে তার সঠিক তথ্য আমাদের সম্মানিত সদস্যদের কাছে তুলে না ধরলে বিভ্রান্তি ও গুজব আরো বেশি ছড়ানো হবে বলেই সঠিক তথ্য প্রদানের জন্য আমরা সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করি ।
    গঠনতন্ত্র মোতাবেক দুই বছর পর পর নির্বাচনের বিধান রয়েছে। এ কথা সত্য। কিন্তু এই বিধান শুধু এবারই ছিল না সংগঠনের জন্মলগ্ন থেকে তা ছিল। আমরা যদি বিগত দিনের কমিটিগুলোর দিকে তাকাই তাহলে দেখবো জনাব মনছব আলী, জনাব আতাউর রহমান এবং জনাব আসহাব বেগের সময়কার তিনটি কমিটি ছয় বছর মেয়াদের পরিবর্তে দশ বছরের অধিক সময় অতিবাহিত করেছেন । তাদের সময়কার দুটি কমিটিতে কোনো প্রত্যক্ষ নির্বাচন হয় নাই এবং কেউ কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন নাই। এর পরেও তারা তিনটি কমিটি নির্ধারিত সময়ের চেয়ে প্রায় পাঁচ বছর বেশি সময় দায়িত্বে ছিলেন । আমাদের প্রশ্ন, এ ব্যাপারে তাদের কোনো ব্যাখ্যা সাংবাদিক সম্মেলনে দেয়া হলো না কেন? আমাদের অনেকেই সেই সময় কার্যকরী কমিটিতে ছিলেন এবং সাংগঠনিক ফোরামে আমাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছিলাম। আমরা সাংবাদিক সম্মেলন করে কোনো বক্তব্য দেই নাই।
    জনাব আতাউর রহমান এবং জনাব আসহাব বেগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যখন দায়িত্ব পালন করেছিলেন তখন ফকস্টোনে সংগঠনের একটি বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্টিত হয়েছিল। তারা তখন বার্ষিক সাধারণ সভার নোটিশ পর্যন্ত সদস্যদের কাছে প্রেরণ করতে ভুলে গিয়েছিলেন। জনাব আতাউর রহমান চেয়ার একশনের নামে জাতীয় নির্বাহী কমিটিকে পাশ কাটিয়ে বিভিন্ন রিজিওনে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে ডিভাইড এন্ড রুলের থিওরি ফলো করতে চেয়েছিলেন। সাংগঠনিক ফোরামে আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে আলোচনা ও প্রতিবাদ করেছিলাম কিন্তু সংগঠনের ঐক্যের লক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন করে বক্তব্য দেই নাই।
    সংগঠনের বর্তমান পেট্রন জনাব কে এম আবু তাহের চৌধুরী প্রথম টার্মে চেয়ারপার্সন থাকা অবস্থায় সংগঠনের সদস্য সংখ্যা প্রায় পনেরো হাজার ছিল। জনাব মনছব আলী, জনাব আতাউর রহমান এবং জনাব আসহাব বেগ যখন একজন আরেকজনের সাথে পর্যায়ক্রমে সভাপতি ও সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন তখন সংগঠনের সদস্য সংখ্যায় বিরাট ধস নেমে জনাব আতাউর রহমান এবং জনাব আসহাব বেগের সময়ে এসে তা দুই হাজারে এসে পৌঁছে।
    এর পরে জনাব আতাউর রহমান সভাপতি এবং জনাব আসহাব বেগ সেক্রেটারি থাকা অবস্থায় সংগঠনে চেয়ার একশন নামে একনায়কতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রচলন বেড়ে যায়। এরই এক পর্যায়ে দুই তিনটি রিজিওনে নিজস্ব লোকদের প্রমোট করার মানসে অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিকপন্থা প্রয়োগ করতে চাইলে জনাব নুরুল ইসলাম মাহবুব ও আরো কিছু সদস্য এর প্রতিবাদ করতে গেলে চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারির সাথে মতভেদ সৃষ্টি হয়। এমনকি জনাব আতাউর রহমান দাম্ভিকতার সাথে বলেন সাহস থাকলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চেয়ারম্যান পরিবর্তন করেন। তাই আমাদের মুরব্বিদের রেখে যাওয়া আমানত এই বৃহৎ সংগঠনের ভাবমূর্তি রক্ষা করা ও দাম্ভিকতার প্রতিবাদস্বরূপ নুরুল ইসলাম মাহবুব বিগত নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দিতা করে সম্মানিত ডেলিগেটসদের রায়ে সভাপতি নির্বাচিত হন । কিন্তু জনাব আতাউর রহমান নির্বাচনে হেরে সংগঠনের চেয়ারম্যানের বিরুদ্বে তার পছন্দের কিছু সদস্য দিয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির প্রতিটি সভায় উস্কানিমূলক আচরণের মাধ্যমে হিংসা, বিদ্বেষ এবং সংগঠনে বিভাজন সৃষ্টি করার প্রয়াস অব্যাহত রাখেন।
    সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়:
    আমরা সংগঠনের সদস্যদের প্রতি দায়িত্বশীলদের জবাবদিহিতা বাড়াতে আপনাদের সামনে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরতে চাই। আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলের কেউ কেউ বর্তমান কমিটির মেয়াদ দুই বছরের বেশি সময় অতিবাহিত করা নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়েছেন । যারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন তারাও কিন্তু এই কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন এবং তাদের সকলের মতামতের ভিত্তিতে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে । সংগঠনের চেয়ারপার্সন জনাব নুরুল ইসলাম মাহবুব পূর্বের চেয়ারপার্সনের মতো চেয়ার একশনের নামে একনায়কতান্ত্রিক পন্থায় সংগঠন পরিচালনা করেন নাই। এছাড়া গঠনতন্ত্র মোতাবেক জিএসসির সিদ্ধান্তসমূহ জাতীয় নির্বাহী কমিটির অনুমোদন ছাড়া নেয়া সম্ভব নয়।
    বর্তমান কমিটির চেয়ারপার্সন ও সাধারণ সম্পাদকের পক্ষে এককভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। এছাড়া জিএসসি’র বারোটি রিজিওনের নির্বাচন/কমিটি গঠন এবং প্রত্যেক রিজিওনের ডেলিগেটে নিবাচন করার পরেই কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয়।
    জিএসসি’র সবচেয়ে বৃহৎ রিজিওন হচ্ছে সাউথ ইস্ট রিজিওন। সাউথ ইস্ট রিজিওনের নির্বাচনের তফসিল এবং মনোনয়ন দাখিল ও প্রত্যাহারের পর নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সদস্য দ্বারা অনিয়মতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন স্থগিত করা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা এবং পরবর্তীতে ডেলিগেট নির্বাচন নিয়ে বিরোধ নিষ্পন্ন করতে এক বছরের অধিক সময় চলে যায়। এই সময়ের মধ্যে ইচ্ছা করলেও কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব নয় । কারণ রিজিওন থেকে যারা ডেলিগেট নির্বাচিত হয়ে আসেন তারাই কেন্দ্রীয় কমিটির ভোটার। তাই রিজিওন থেকে ভোটার লিস্ট তথা ডেলিগেট লিস্ট চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচন করা সম্ভব নয়। এখানে উল্লেখ্য যে, সাউথ ইস্ট রিজিওনের জটিলতা নিরসনে একটি সাব কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটিতে বর্তমান কমিটির সভাপতি, সেক্রেটারি ও ট্রেজারারের সাথে জনাব মনছব আলী এবং জনাব আসহাব বেগসহ আরো কিছু সদস্য ছিলেন। সমস্যা নিষ্পত্তি না করে কারা দেশ বিদেশ ঘুরে এসেছিলেন এবং সময় ক্ষেপন করেছিলেন অনেকেই তা জানেন।
    সাউথ ইস্টসহ আরো দুটি রিজিওন সাউথ ওয়েস্ট এবং ওয়েস্ট মিডল্যান্ড রিজিওনে ডেলিগেট নির্বাচন নিয়ে ডিসপুট দেখা দিয়েছিলো। জাতীয় নির্বাহী কমিটি এবং সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও মুরব্বিদের সহযোগিতায় সাউথ ইস্ট এবং সাউথ ওয়েস্ট রিজিওনের ডিসপুটের সন্তোষজনক সমাধান করা সম্ভব হলেও ওয়েস্ট মিডল্যান্ড রিজিওনের ডিসপুট সমাধান করা সম্ভব হয় নাই। ওয়েস্ট মিডল্যান্ড রিজিওনে কামাল আহমেদ ভাই, আশিক ইসলাম ভাই, জয়নাল ইসলামসহ আরো কয়েকজন সদস্য মিলে প্রায় একশত পঞ্চাশজন সদস্য জমা দেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ্যের বিষয় এই দেড়শত সদস্যের মধ্য থেকে একজনকেও ডেলিগেট করা হয় নাই। ওয়েস্ট মিডল্যান্ড রিজিওনের বর্তমান নেতৃবৃন্দকে বার বার বলার পরেও উনারা এই দেড়শত সদস্যের মধ্যে কাউকে ডেলিগেট করেন নাই। এর পরেও আমরা সংগঠনের বৃহত্তর ঐক্য ও সম্প্রীতির স্বার্থে এবং সংগঠনের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে যে সকল সদস্য আপসেট হয়েছেন তাদেরকে ধৈর্য্য ধরার আহবান জানিয়েছি। ।
    এসব বিষয়ে সব সময় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যবৃন্দকে অবহিত করা হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে যারা এখন বিভ্রান্তি ছড়াতে চাইতেছেন তারাও এসব সভায় উপস্থিত ছিলেন। তারা সব জেনেও শুধুমাত্র ভোট পাওয়ার জন্য সত্য গোপন করে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে নিজস্ব ফায়দা হাসিল করতে চাইছেন। আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলের ক্যাম্পেইন ম্যানেজার জনাব আসহাব বেগসহ আরো কিছু সদস্য জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে যে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন তা নির্বাহী কমিটির সকল সদস্যরা প্রত্যক্ষ করেছেন।
    জিএসসি’র নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান কমিটিকে কেউ কেউ ব্যার্থ বলে অভিহিত করতে চাইছেন। কিন্তু এই কমিটিতে শুধুমাত্র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন না। এই কমিটিতে সহসভাপতিসহ গুরুত্বপূর্ণপদে আরো যারা ছিলেন তাদের অনেকেই নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করে এখন বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। বরং সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং আরো কিছু সম্মানিত সদস্যের আন্তরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিগত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের চেয়ে অনেক বেশি কাজ করা হয়েছে। কিছু সদস্যের ইচ্ছাকৃত অসহযোগিতার পরেও বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে জিএসসির সদস্য সংখ্যা গত টার্মের চেয়ে প্রায় দ্বিগুন হয়েছে। এর জন্য সংগঠনের সকল রিজিওনের সম্মানিত সদস্যদের জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও মোবারকবাদ। আমরা দুঃখ্যের সাথে বলতে চাই কিছু সদস্য বর্তমান কমিটির কার্যক্রমকে স্থবির করে রাখতে দিনের পর দিন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভায় নানান সমস্যার সৃষ্টি করেছিলেন । সংগঠনে বৃহত্তর ঐক্য ধরে রাখতে বর্তমান চেয়ারপার্সন খুব ধৈর্যের সাথে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সবকিছু মোকাবেলা করেছেন। আমরা মনেকরি আগামী নির্বাচনে সম্মানিত ডেলিগেটগন এর বিচার করবেন। এসব বিবেচনা করে সংগঠনের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নির্বাচনে সম্মানিত ডেলিগেটসরা তাদের সুচিন্তিত ও মূল্যবান রায় প্রদান করবেন।
    এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, বাংলা স্কুল ও স্টাডি সাপোর্ট পরিচালনা করার জন্য একটি গ্রান্ট জিএসসি কয়েক বছর পেয়ে আসছিলো। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ্যের বিষয় যে, জনাব আতাউর রহমান এবং জনাব আসহাব বেগ দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে শুধুমাত্র এপ্লিকেশন জমা দিতে না পারায় এবং সঠিক তথ্য না রাখার জন্য এই স্কুলের ফান্ড বন্দ্ব হয়ে যায়। এতে করে শুধুমাত্র একবারের জন্য ফান্ড বন্দ্ব হয় নাই, অন্যান্য ফান্ড পেতে সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে এবং প্রজেক্টের ছাত্রছাত্রীরা বিশেষভাবে বঞ্চিত হয়েছে।
    শত প্রতিকূলতা স্বত্বেও বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে টাওয়ার হ্যামলেটস এবং লন্ডন কাউন্সিল থেকে ঊঝঋ ফান্ডিং অ্যাওয়ার্ড এর মাধ্যমে হেলথ এন্ড সোশ্যাল কেয়ার এবং এক্সেস টু গেট এমপ্লয়মেন্ট নামে চারটি প্রজেক্ট সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। অনেকেই সফলভাবে এই প্রজেক্ট শেষ করে ইতিমধ্যে জব শুরু করেছেন। আনন্দের খবর যে, এই প্রজেক্টের মাধ্যমে আরো বিশ হাজার পাউন্ডের গ্রান্ট পাওয়া গিয়েছে। যার কার্যক্রম খুব শিগ্রই শুরু হবে। এছাড়া প্রবাসীদের অধিকার আদায়সহ বিভিন্ন দাবি দাওয়া বিশেষ করে নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্বে সফলভাবে জনমত সৃষ্টি করে বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করে এই বিল পরিবর্তনে জোরালো ভূমিকা রাখা হয়। দিল্লি থেকে ভিসা অফিস স্থানান্তরে ব্যাপারে জনমত সৃষ্টিতে আন্দোলন চলছে। যুক্তরাজ্যের প্রবাসীদের ভোটাধিকার আদায়ে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং আগামীতে কমিউনিটির সকলকে এক প্লাটফর্মে ঐক্যবদ্ব করে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
    আপনারা জানেন, জিএসসির ফান্ডে শুধুমাত্র সদস্যদের মেম্বারশিপ ফি ১০ পাউন্ড থেকে রেজিওনের অংশ দেয়ার পর একটা অংশ কেন্দ্রীয় কমিটি পায়, যা খুবই নগন্য। বর্তমানে প্রজেক্টের মাধ্যমে যে ফান্ড আসে তা শুধু নির্ধারিত কাজেই ব্যবহার করতে হয়। এর পরেও জিএসসি’র বৃহত্তর সিলেট কমিটিসমূহের মাধ্যমে বর্তমান কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম মাহবুবের ব্যাক্তিগত উদ্যোগে গ্রেটার সিলেট কাউন্সিলের নামে কিছু প্রজেক্ট বাংলাদেশে সম্পন্ন করা হয়।
    ১) মহিলাদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করে প্রায় ত্রিশজন মহিলার জন্য কাজের সুবিধা সৃষ্টি হযয়েছে।
    ২) একটি ভ্যান ক্রয় করে একটি অসহায় পরিবারকে দেয়া হয়।
    ৩) গরিব ও মেধাবী ছাত্রীদেরকে এডমিশন ফি এবং অন্যান্য খরচ বাবদ গ্রান্ট দেয়া হয়েছে।
    ৪) মৌলভীবাজার সদর পৌরসভায় ময়লা আবর্জনা এক জায়গায় ফেলার জন্য ডাস্ট বিন সরবরাহ করা হয়েছে।
    ৫) বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় গরিব ও অসহায় মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র ও মশারি বিতরণ করা হয়। ৬) সুনামগঞ্জের মোল্লা পাড়া ইউনিয়নে বন্যা কবলিত মানুষদের মধ্যে দুই লক্ষ্য টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ৭) হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলাতে বন্যা কবলিত মানুষদের মধ্যে এক লক্ষ্য টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
    ৮) মৌলভীবাজারে বন্যা কবলিত মানুষদের মধ্যে দুই লক্ষ্য টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
    ৯) বরিশালের মুলাদী এবং রূপ নগর এলাকায় প্রতি রমজানে গরিব ও অসহায় মানুষদেরকে ইফতারের জন্য এবং কোরবানির ঈদে দুটি করে গরুর টাকা হেড ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নুরুল ইসলাম মাহবুবের ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে গ্রেটার সিলেটের ব্যানারে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়।

    এছাড়াও নুরুল ইসলাম মাহবুব বিভিন্ন সময়ে গ্রেটার সিলেট কাউন্সিলের ব্যানারে সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে গরিব ও দরিদ্রদের সাহায্য সহযোগিতা করে আসছেন।
    জিএসসিতে জবাবদিহিতা ফিরিয়ে আনতে এবং জিএসসিকে কমিউনিটির সকলের জন্য একটি বৃহত্তম প্লাটফর্ম তৈরী করতে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় আমরা জিএসসির সম্মানিত ডেলিগেট সদস্যবৃন্দকে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে মাহবুব-মকিস-রানা পরিষদকে চেয়ার মার্কায় মূল্যবান ভোট প্রদানের অনুরোধ করছি।