লকডাউন বাড়ানোর সুপারিশ,এখনো সিদ্ধান্ত দেয়নি সরকার:স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

0
642
লকডাউন বাড়ানোর সুপারিশ,এখনো সিদ্ধান্ত দেয়নি সরকার:স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

নুরুজ্জামান ফারুকী,বিশেষ প্রতিনিধিঃ সারাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এবং মৃত্যু ঠেকাতে ২৩ জুলাই থেকে সরকার দেশজুড়ে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। বিধিনিষেধ চলবে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত। কিন্তু সংক্রমণ এবং মৃত্যুহার না কমে বরং দিন দিন বাড়ার কারণে ৫ আগস্টের পরও লকডাউন বহালের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা এ বি এম খুরশীদ আলম শুক্রবার (৩০ জুলাই ২০২১) দুপুরে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “আমরা আরও আগেই এই চলমান লকডাউন বাড়ানোর সুপারিশ সরকারের কাছে করেছি। যদিও এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি সরকার।“

মহাপরিচালক ডা এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে, আমরা কীভাবে এই সংক্রমণ সামাল দেব ? হাসপাতালে বেড ফাঁকা নেই। রোগীদের কোথায় জায়গা দেবো ? সংক্রমণ যদি এভাবে বাড়তে থাকে, তাহলে পরিস্থিতি কঠিন হবে। অবস্থা খুবই খারাপ হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এসব বিবেচনায় আমরা বিধিনিষেধ বাড়ানোর সুপারিশ করেছি। এর আগে ঈদ পরবর্তী সংক্রমণ সামাল দিতে পূর্বঘোষিত তারিখ অনুযায়ী গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ফের শুরু হয় কঠোর বিধিনিষেধ। যা চলবে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত।

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ও স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করে বিধিনিষেধ চলাকালীন সড়ক, নৌ, রেলপথে সব ধরনের যাত্রী পরিবহন বন্ধ রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ২১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০ হাজার ৪৬৭ জনে। এ সময়ে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১৩ হাজার ৮৬২ জন। এর ফলে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২ লাখ ৪০ হাজার ১১৫ জনে।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানাগত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৩ হাজার ৯৭৫ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১০ লাখ ৬৪ হাজার ১৯৫ জন। সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৮১ শতাংশ। মৃত ২১২ জনের মধ্যে শূন্য থেকে দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব ৫ জন, ত্রিশোর্ধ্ব ১৫ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২৫ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪৮ জন, ষাটোর্ধ্ব ৬৯ জন, সত্তোরোর্ধ্ব ৩২ জন, আশির্ধ্ব ১১ জন এবং নব্বই বছরের বেশি বয়সী ৬ জন মারা যান।
একই সময়ে করোনায় মৃত ২১২ জনের মধ্যে বিভাগওয়ারি হিসেবে দেখা গেছে, ঢাকায় ৬৫ জন, চট্টগ্রামে ৫৩ জন, রাজশাহীতে ১৩ জন, খুলনায় ৩৬ জন, বরিশালে ১১ জন, সিলেটে ১৭ জন, রংপুরে ৯ জন এবং ময়মনসিংহে ৮ জনের মৃত্যু হয়।