রোহিঙ্গা সম্পর্কে বাংলাদেশের বইয়ে ভুল,পরিকল্পিত নয় তো ?

    0
    452

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৬সেপ্টেম্বর,ডেস্ক নিউজঃ লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যখন হিমশিম খাচ্ছে তখন অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে শেখানো হচ্ছে রাখাইনে রোহিঙ্গারা বহিরাগত। তারা চট্টগ্রাম থেকে যাওয়া বাংলাদেশী। আগামী বছরও শিক্ষার্থীদের পড়তে হবে এই লেখা।
    ২০১৯ সালের আগে সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড চেয়ারম্যান এর দায় চাপাচ্ছেন সম্পাদনা পরিষদের উপর।

    সাহিত্য কণিকা অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবই এতে একটি ভ্রমণ কাহিনী আছে নাম মংডুর পথে বিপ্রদাশ বড়–য়ার লেখাটি অন্তর্ভূক্ত করা হয় ২০১২ সালের পর। চলতি শিক্ষাবর্ষে অষ্টম শ্রেণি শিক্ষার্থীরা পড়ছে। লেখক বলেছেন, ‘মিয়ানমারের রাখাইনের বাসিন্দারা বহিরাগত এবং তারা বাংলাদেশ থেকে যাওয়া।’ পাঠ্যবইয়ের এই বক্তব্যের সাথে সামান্যতমও মিল নেই সত্ত্বের। বাংলাদেশ সরকারের অবস্থানেরও।

    লেখক বিপ্রদাশ বডুয়া বলেন,অন্তত ৩’শ বছর ধরে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে বসবাস করছে। পরে জানতে পারছি মূলত রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের। বহিরাগত যখন আমি লিখেছি, ভুল লিখেছি আমার মনে হচ্ছে এখন।

    গবেষকরা বলছেন, ভ্রমণ কাহিনীটির সাহিত্যিক মান খুবই নিম্নমানের। রয়েছে ভাষাগত, সংস্কৃতিগত ও আপত্তিকর শব্দ বাক্য।
    লেখাটির বিষয়বস্তু কোনো ঠিক নেই। লেখাটির ভাষাশৈলী সেটা অত্যন্ত নিম্ন মানের। এমন একটি নিম্ন মানের লেখা কিভাবে আমরা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিলাম। রাখাইন পুরো ইতিহাস জুড়ে স্বতন্ত্র রাজনৈতিক সত্ত্বা ছিল। সুতরাং রাখাইনের মুসলমানরা বহিরাগত এর কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই।

    অষ্টম শ্রেণি এই বইটি সম্পাদনা করা হয় বছর পাঁচেক আগে। সেখানে নাম রয়েছে ১০ জনের কথা হয় একজনের সাথে।
    বইটির সম্পাদকদের একজন অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর বলেন, আমরাতো (সম্পাদকেরা) এনসিটিবি থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছি। আমাদের ছাড়াও অনেকেই সংযোজন ও বিয়োজন করেছে, আমরা জানিই না। ফলে আমরা বলেছি এনসিটিবি থেকে আমাদের নাম বাদ দিয়ে দাও।এটাতো উনার ( বিপ্রদাশ বডুয়া) লেখা। আমরা ছাপাইছি বা না ছাপাইছি এবং যারা সম্পাদনা করছে তারা এটা বুঝবে। ২০১৭ সালে বইতো চলেই গেছে।

    এনসিটিবি বলছে, শিক্ষার্থীদের আগামী বছরও পড়তে হবে বিতর্কিত লেখাটি। কারণ এরই মধ্যে ছাপা হওয়ার জন্য প্রেসে পাঠানো হয়েছে বইটি। সূত্রঃযমুনা টিভি