রোহিঙ্গা সমস্যায়ও ভারত বাংলাদেশের পাশে থাকবে

    0
    381

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৯নভেম্বর  একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত সরকার ও সেদেশের জনগণ যেভাবে আমাদের পরম বন্ধু হয়ে পাশে ছিল; রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের জন্যেও ভারত বাংলাদেশ ও মানবতার পক্ষে আন্তরিক হয়ে কাজ করবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন।

    রবিবার (১৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর নির্মল সেন হল মিলনায়তনে জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আয়োজিত ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী গান্ধীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট ফোরাম (বোয়াফ) সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়।

    আলোচনা সভায় বিএনএফ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এমপি তাঁর প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ইন্দিরা গান্ধী এই উপমহাদেশের একজন নেতা নন; তিঁনি মানবতার জন্য বিশ্বের কাছে আজ একটি উদাহরণ। তাঁর রাজনৈতিক বিচক্ষনতা আর সময় উপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণের কাছেও চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

    বোয়াফ সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, আজ মিয়ারমার সরকারের উদ্দেশ্য-প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও হত্যা, ধর্ষন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ আমাদের সেই মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে করিয়ে দেয়। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বর্বরতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। মিয়ানমার কর্তৃক বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চেয়েও তখন আমাদের অবস্থা ছিল আরও ভয়াবহ! আর সেই মুহুর্তে পরম এবং পরিক্ষিত বন্ধুর মতন হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী গান্ধী। তখন আমাদের প্রায় ১ কোটি মানুষকেই তিঁনি শুধু আশ্রয় দেয়নি; বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষে তিঁনি বিশ্ব জনমত গড়তে পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করেছিলেন।

    তিঁনি আরও বলেন, আজ বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাও মিয়ানমার থেকে বিতারতি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে বিশ্ব মানতবার আরেক মাদার অব হিউম্যানিটি’র উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী গান্ধী ও শেখ হাসিনার আদর্শ আজ বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে অনুকরণীয়। আর তাই রোহিঙ্গা সমস্যা ও প্রত্যাবসন নিয়ে ভারত আন্তরিক হয়ে শুধু বাংলাদেশের পক্ষেই নয়; মানবতার পক্ষে কাজ করবে বলে আশাবাদী।

    জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এমএ জলিলের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির নির্বাহাী সম্পাদক সাদেক সিদ্দিকী, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি গণি মিয়া বাবুল, জাতীয় গণতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলনের চেয়ারম্যান আশরাফ আলী হাওলাদার, মানবাধিকার আন্দোলনের চেয়ারম্যান খাজা মহিবুল্লাহ শান্তিপুরী, মিরপুর থানা আওয়ামী লীগ নেতা আ স ম মোস্তফা কামাল প্রমুখ।