রোহিঙ্গাদের সনদঃতাহিরপুরে চেয়ারম্যান ও মেম্বার বহিস্কার

    0
    224

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন ও ইউপি সদস্য মনির উদ্দিন সরকারী আদেশ লঙ্গন করে রোহিঙ্গা সনদ দেওয়া ও নিয়মবর্হিভূত ভাবে কাজ করায় বহিস্কার করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীর স্বাক্ষরিত ০৪,০২,২০২০ইং তারিখে আফতাব উদ্দিনকে স্মারক নং ৪৬.০০.৯০০০.০১৭.০০৪.১৯-১৩৫ এছাড়াও একেই পরিষদের সদস্য মনির উদ্দিনকে স্মারক নং ৪৬.০০.৯০০০.০১৭.০০৪.১৯-১৩৭কে বহিস্কার করা হয়েছে।
    স্মারক জানাযায়,জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা ২০১৮এর বিধি ৯ ও ১০ধারায় জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র প্রদানের বিষয়ে সু স্পষ্ট নির্দেশনা প্রতিপালন না করে রোহিঙ্গাদের জন্ম সনদ প্রদান করে সরকারী আদেশ অমান্য করার বিষয়টি তদন্তে প্রমানিত হয়েছে। সরকারী আদেশ অমান্য করায় জনস্বার্থে তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদে ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাশনিক দৃষ্টিকোনে সমীচীন নয় মর্মে মরকার মনে করে। সেহেতু সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন কতৃক সংঘটিত অপরাধমূলক র্কাযক্রম পরিষদসহ জনস্বার্থেও পরিপন্থি বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ)আইন ২০০৯এর ৩৪(১)ধারা অনুযায়ী উল্লেখিত চেয়ারম্যানকে তার স্বীয় পদ হতে সাময়িক ভাবে বহিষ্কার করা হলো। এ আদেশ কতৃপক্ষের অনুমোদন ক্রমে জনস্বার্থে জারী করা করা হলো এবং তা অবিলম্বে র্কাযকর কবে। একেই পরিষদের সদস্য মনির উদ্দিনকেও উপরোক্ত কারনে বহিস্কার করা হয়েছে।
    এবিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যনার্জি জানান,এখন পর্যন্ত আমার কাছে এমন কাগজ আসে নি। তবে জেলা প্রশাসকের কার্য্যালয় থেকে নিয়মবর্হিভূত ভাবে কাজ করায় চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন কে বহিস্কার করা হয়েছে বলে আমাকে জানানো হয়েছে। হয় ত কাল সকালে এই কাগজ পেয়ে যাব।

    উল্লেখ্য,২০১৬সালে রোহিঙ্গা নির্যাতনের সময় দালাল ধরে সপরিবারে টেকনাফে আসেন আব্দুছ ছবুর ও তার পরিবার। সেখানে কিছুদিন থাকার পর রমজানে মাওলানা আল আমিনের হাত ধরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তের গুটিলা গ্রামে চলে আসেন। পরবর্তীতে স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নাগরিকত্ব সনদ বের করেন। পরে গোপন সংবাদের বৃহস্পতিবার(১৪সপ্টেম্বর-২০১৭)গুটিলা গ্রামে অভিযান চালায় রাতে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসার পর আব্দুছ ছবুর,তার স্ত্রী,দুই ছেলে,চার মেয়ে,পুত্রবধূ ও নাতিসহ মোট ১২জনকে টেকনাফ রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে পাঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ।