রাস্তা সংস্কারের অভাবে দুর্ভোগে আত্রাইয়ের লক্ষাধিক মানুষ

    0
    207

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৭মে,নাজমুল হক নাহিদ,আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:   নওগাঁর আত্রাইয়ে মাত্র ২০০ গজ রাস্তা পাকা করণের অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। সামনে পাকা পশ্চাতে পাকা মাঝে মাত্র ২০০ গজ রাস্তা পাকা না থাকায় বর্ষা মৌসুমে যারপর নাই দুর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকাবাসীসহ পথচারীদের।

    আত্রাই-নাটোর ভায়া বাঁকিওলমা খাজুরা রাস্তাটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। এ রাস্তাদিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার লোকজন চলাচল করে থাকে। এ ছাড়াও সিএনজি, অটোচার্জার, রিক্সাভ্যানসহ ছোট বড় বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে থাকে। নাটোরের নলডাঙ্গা ও নওগাঁর আত্রাই এ দুই থানা ও জেলার মধ্যে সেতুবন্ধনে আত্রাই নদীর উপর বাঁকিওলমাতে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ে ব্রিজটি নির্মাণ করা হলেও এর সুফল থেকে বি ত রয়েছে এলাকাবাসী।

    সরেজমিনে দেখা যায়, আত্রাই হতে নাটোরের সাথে রেলপথের বিকল্প হিসেবে এ একটি মাত্র সড়ক পথ ছাড়া আর কোন যোগাযোগের পথ নেই। এদিকে এ রাস্তাটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে বেশ কয়েক বছর আগে আত্রাই হতে বাঁকিওলমা পর্যন্ত পাকা করণ করা হয়। বাঁকিওলমাতে ব্রিজ নির্মাণের পর ২০০ গজ রাস্তা পাকা করে ব্রিজের সাথে যোগাযোগ করে দেয়ার কথা থাকলেও প্রায় দুই বছরেও এ রাস্তা পাকা করণ করা হয়নি। বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলেই কর্দমক্ত হয়ে যায় রাস্তাটি। ফলে যানবাহনতো নয়ই পায়ে হেঁটে চলাও সম্ভব হয়না এ রাস্তা দিয়ে।

    উপজেলার গোপালবাটী গ্রামের জালাল উদ্দিন বলেন, সামান্য একটু বৃস্টি হলে এরাস্তা দিয়ে চলাচল করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এমনকি আমরা এ রাস্তা দিয়ে কৃষি পণ্য নিয়ে যেতে পারিনা।

    উপজেলার সাহেবগঞ্জ গ্রামের আব্দুল মুমিন বলেন, বৃষ্টির পর মোটরসাইকেল নিয়ে নাটোর থেকে এ রাস্তা দিয়ে আত্রাই আসার সময় ব্রিজ পার হওয়ার পর চরম দুর্ভোগে পড়ে যাই আমি। আমার মোটরসাইকেলও চলে না, পায়েও হাঁটা যায় না। স্থানীয় কয়েকজন লোক সহযোগিতা করে কোন রকমে এ ২০০ গজ রাস্তা আমাকে পার করে দেয় তার পর আমি আত্রাইয়ে আসি। তারা সহযোগিতা না করলে মোটরসাইকেল রেখেই আমাকে চলে আসতে হতো।

    স্থানীয় ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, সামান্য একটু রাস্তার জন্য হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাবে এটা হয় না। বৃহত্তর জনস্বার্থে দ্রুত অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করা প্রয়োজন।

    ইউপি চেয়ারম্যান আফছার আলী বলেন, আমিও জানি এখানে লোকজনের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। রাস্তাটি পাকা করণের কাজ প্রথমে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়র কর্তৃপক্ষ ও পরে এলজিইডি করেছে। তারা কেন এতটুকু কাজ অবশিষ্ট রেখেছে তা আমার বোধগম্য নয়। তবে অবশ্যই আমি দ্রুত কাজটুকু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো।