আমারসিলেট24ডটকম,২০মার্চঃ চতুর্থ উপজেলা পরিষদের প্রথম ও দ্বিতীয় দফার নির্বাচন মোটামুটি সন্তুজজনক হলেও তৃতীয় দফার নির্বাচনে দলীয় লোকজনের হস্তক্ষেপ, কারচুপি, ভোটকেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার ছিনতাইসহ নানা অনিয়মের ঘটনা আগের সকল অনিয়মকে ছাপিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।
তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনে কেন্দ্র দখল এবং সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তার দায় নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে। উপজেলা নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। অনেক প্রার্থী ও প্রশাসনের অভিযোগের পরও ইসি কার্যত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বরং তারা নীরব ভূমিকায় অবর্তীণ হয়েছে। তাদের নীরব ভূমিকায় দেশবাসী উদ্বেগ্ন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে জানানো হয়, প্রথম ও দ্বিতীয় দফা উপজেলা নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনিয়ম, ভোটকেন্দ্র দখল করার মতো অভিযোগ এলেও নির্বাচন কমিশন কার্যত কোনো ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়। গত ১৫ মার্চ তৃতীয় দফা উপজেলায় প্রথম দুই দফার অনিয়ম আগের সব অভিযোগকে ছাপিয়ে গেছে। সুজন অভিযোগ করে, সুষ্ঠু নির্বাচন ও ভোট জালিয়াতি রোধে সংবিধান ও রাষ্ট্র যথেষ্ট ক্ষমতা দিলেও কমিশন তা প্রয়োগ করছে না।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদের সমালোচনা করেন সুজন সম্পাদক বলেন, দেশে যে মুহূর্তে উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে তখন সন্তোষজনক কারণ ছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এভাবে ছুটিতে যাওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, চলমান সহিংসতা বন্ধ করতে না পারলে দেশে নারকীয় পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। আর এ পরিস্থিতিতে উগ্রবাদের বিস্তার ঘটাও অস্বাভাবিক নয়। তাই দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ধরে রাখতে হলে কমিশনকে সকল বির্তকের উর্ধ্বে থাকতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চতুর্থ ধাপের ২৩ মার্চ অনুষ্ঠেয় উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রায় ২৯ দশমিক ৮১ শতাংশের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৩ দশমিক ৯৫ শতাংশের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় (খুন) মামলা রয়েছে। এ ছাড়া চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ৫৯ দশমিক ৬৩ শতাংশের পেশা ব্যবসা। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।