রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের জনসভা:দশ দফা দাবি

    0
    243

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২১মার্চঃ আগামী জাতীয় বাজেটে রাজশাহী অঞ্চলের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় প্রকল্প অন্তর্ভুক্তসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে রাজশাহীর বৃহৎ সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা পরিষদ।২০ মার্চ ২০১৬, রবিবার বেলা ১০ টা থেকে নগরীর গণকপাড়া তুলাপট্টি মোড়ে অনুষ্ঠিত বিশাল জনসভা থেকে রাজশাহীর উন্নয়নের স্বার্থে ১০ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

    রাজশাহীর মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি লিয়াকত আলী। এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, সাংগঠনিক সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু, আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজমুস সাদাত, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মনিরুজ্জামান মণি, রাবির শিক্ষক ড. সুজিত সরকার, প্রকৌশলী কবীর হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা বরজাহান আলী শাহজাহান, জালাল উদ্দিন, সংগঠনটির উপদেষ্টা ও স্থানীয় দৈনিক সোনার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হাসান মিল্লাত, ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সভাপতি হারুনর রশিদ, রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী, রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, লোকমোর্চ রাজশাহীর পবার সভাপতি আলাউদ্দিন আল আজাদ, ব্যবসায়ী নেতা এম. শরীফ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চ রাজশাহী নগর সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মামুন-অর-রশিদ, পবা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সুফিয়া হাসান, নারী নেত্রী সেলিনা খাতুন, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের নেতা সূভাষ চন্দ্র হেমব্রম, দিগন্ত প্রসারী সংঘের সহ-সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন, সাংবাদিক মুঞ্জুয়ারা খাতুন, মানবাধিকার কর্মী আইয়ূব আলী তালুকদার, সাবেক ছাত্রনেতা মনিরুজ্জামান প্রমূখ।

    এছাড়া জনসভায় ভাষা সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র নেতৃবৃন্দ, আইনজীবি সমিতি, ছাত্র-ছাত্রী, বিভিন্ন সামাজিক ও পেশাজীবি সংগঠন এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

    বক্তারা বলেন, রাজশাহীতে মেডিক্যাল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ সরকারের নানা উদ্যোগ নেয়ার কথা থাকলেও গত সাত বছরেও সেগুলো আলোরমুখ দেখেনি। রাজশাহীর রেশম কারখানা ও নতুন নতুন কলকারখানা চালু না হওয়ায় এখানকার উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। জনসভা থেকে বক্তারা আগামী বাজেট অধিবেশনের আগেই রাজশাহী অঞ্চলের অতি প্রয়োজনীয় প্রকল্প বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।

    তাদের ১০ দফা দাবি গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত রাজশাহীতে বন্ধ গ্যাস সংযোগ পুন: স্থাপন, আব্দুলপুর-রাজশাহী-রহনপুর পর্যন্ত ডুয়েল গেজ রেললাইন স্থাপন, রাজশাহী থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম পর্যন্ত রেল যোগাযোগ সম্প্রসারণ, জনগণের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা, বন্ধ রেশম কারখানাসহ অন্যান্য কারখানা চালু, নদী ভাঙ্গন রোধ কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করা এবং গঙ্গা ব্যারেজ ও উত্তর রাজশাহী সেচ প্রকল্প অবিলম্বে বাস্তবায়ন।

    বক্তারা নগরীর চালচিত্র উল্লেখ করে বলেন, সম্প্রতি মাদকের করাল গ্রাসে ধংসক হচ্ছে যুবসমাজ। ভূমিদস্যুদের কবলে পড়ে প্রকিনিয়ত ভুমির অধিকার হারাচ্ছে মানুষ, হাসপাতালের কাঙ্খিত চিকিৎসা সেবা মিলছেনা। রাজশাহীর বিভিন্ন ভূমি অভিসে দূর্নীতির কারণে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

    এছাড়া জনসভা থেকে রাজশাহী রাজশাহীতে সিএনজি স্টেশন প্রতিষ্ঠা ও পাচতারা হোটেল এবং ক্রিকেটের টেস্ট ভেন্যূ বাস্তবায়নের দাবি জানান।