রাজশাহী ও সিরাজগঞ্জে জামায়াত-শিবিরের দুইকর্মী নিহত

    2
    285

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,এপ্রিলঃ রাজশাহী ও সিরাজগঞ্জে গুলিতে জামায়াত-শিবিরের দুইকর্মী নিহত হয়েছে।সিরাজগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত শিবিরকর্মীর নাম আনিস। তিনি সিরাজগঞ্জ শহরের মওলানা ভাসানী ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র।

    রোববার রাত ৯টার দিকে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ধানবান্ধি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম জানান, রোববার রাত ৯টার দিকে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ধানবান্ধি মহল্লার লিমন ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে ৬ ছাত্রকে আটক করে। এসময় ছাত্রদের কক্ষ থেকে ৩টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছাত্রাবাসের মালিক লিমন হোসেনকেও আটক করা হয়।

    আটকের সময় ছাত্ররা পুলিশের উপর হামলা চালালে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে এতে উল্লাপাড়া উপজেলার গয়হাট্টা গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে আনিস (১৮) গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে সিরাজগঞ্জ আড়াইশ শয্যা হাসপাতালে ভর্তির পর আজ ভার পৌনে ছয়টার সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

    এদিকে, রাজশাহী মহানগরের নওদাপাড়া বাইপাস থেকে শহীদুল ইসলাম (২৬) নামে এক জামায়াতকর্মীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে শাহ মখদুম (রহ.) থানা পুলিশ।

    আজ সোমবার সকালে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহত জামায়াতকর্মী শহীদুল ইসলাম মহানগরের শাহ মখদুম (রহ.) থানার ভাড়ালিপাড়া এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।

    রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গোয়েন্দা শাখা পুলিশের সহকারী কমিশনার ইফতেখায়ের আলম জানান, সোমবার সকালে এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে শাহ মখদুম থানা পুলিশ নওদাপাড়া বাইপাস থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে।

    রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক রায়হানুল পারভেজ জানান, শহীদুলকে আটকের পর পুলিশ পরিকল্পিতভাবে গুলি করে হত্যা করেছে। এর আগে শনিবার রাত ২টার দিকে ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গোয়েন্দা পুলিশ শহীদুল ইসলামকে আটক করে নিয়ে যায়। হাসপাতালের ক্লোজসার্কিট ক্যামেরাই সেই দৃশ্য ধরা পড়েছে।

    তিনি আরো বলেন, একটি বিশেষ গোষ্ঠির নির্দেশে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কথিত বন্দুক যুদ্ধের নামে নিরাপরাধ ওই জামায়াত কর্মীকে হত্যা করেছে।

    তার অবস্থান নিশ্চিত ও মুক্তি দিতে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণের সুযোগও দেয়া হয়নি। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান ওই শিবির নেতা।

    এদিকে, ছাত্রশিবিরের প্রচার বিভাগ দাবি করেছে, রাজশাহী মহানগরীর সেক্রেটারী জসিম উদ্দিনের ছোট ভাই শহিদুল ইসলামকে ক্রসফায়ারের নামে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ।