রাজনৈতিকভাবে পরাজয় বরণ করে বিএনপি পাগলের প্রলাপ বকছেঃমেনন

    0
    211

    আমারসিলেট24ডটকম.১০এপ্রিলবাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি, বেসাময়িক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, রাজনৈতিকভাবে পরাজয় বরণ করে বিএনপি এখন নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারেক রহমানের সর্বশেষ বক্তব্য কেবল পাগলের প্রলাপ মাত্র নয়, এর পেছনে বাংলাদেশের ইতিহাসকে অস্বীকার করার সুনিদিষ্ট লক্ষ রয়েছে। ক’দিন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একই কারণে লাখো কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে কটুক্তি করেছেন। আসলে তারা বাংলাদেশের ইতিহাস নয়, তারা পাকিস্তানের অতীতকে এ দেশে ফিরিয়ে আনতে চায়।আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে খুলনা নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নবম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

    ওয়ার্কার্স পার্টি নেতা রাশেদ খান মেনন খুলনার উন্নয়ন প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, চারদলীয় জোট সরকারের আমলে শিল্প শহরকে শিল্পহীন করা হয়েছিলো। আজ সে অবস্থা থেকে উত্তরণ হচ্ছে। কিন্তু পাটকলগুলো সঠিকভাবে চালু রাখতে না পারলে এ অঞ্চলের উন্নয়নের ধারা ব্যহত হবে। ইতোমধ্যে খুলনার পাটকলগুলোতে সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার পাট পণ্য মজুদ রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকায় পাটপণ্য রপ্তানী  হ্রাস পেয়েছে। তাই সরকারের পাশাপাশি সাধারন মানুষকেও পাটপণ্যের ব্যবহার বাড়াতে হবে।

    মন্ত্রী রাশেদ খান দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরী, নিউজপ্রিন্ট, হার্ডবোর্ডসহ বন্ধ মিলখানার চালু, শ্রমিক-কর্মচারীদের ২০ শতাংশ মহার্যভাতা প্রদান থাকা, অস্থায়ী শ্রমিকদের পর্যায়ক্রমে স্থায়ী, বেসরকারি মিলগুলো পূর্নাঙ্গভাবে চালু ও শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া প্রদানের জন্য আহ্বান জানান।

    বেসাময়িক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন খুলনার বিমানবন্দরের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বলেন, সরকার এ বিমান বন্দরটি চালু করতে আন্তরিক। ইতিমধ্যে এ বন্দরের সম্ভাব্যতা ও বাণিজ্যিক বিষয়গুলো নিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেয়া হয়েছে। নূন্যতম পক্ষে যত দ্রুত সম্ভব এটি স্টল বিমান বন্দর হলেও সরকার তা বাস্তবায়ন করবে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে মেনন বলেন, প্রকৃতির অন্যতম সম্পদ আমাদের সুন্দরবন। এ বনকে ঘিরে খুলনা অঞ্চলে পর্যটন শিল্পের অযুত সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা সে সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চাই।

    তিনি বলেন, উন্নয়নের অন্যতম অনুসঙ্গ বিদ্যুত। বাস্তব অর্থে পর্যাপ্ত বিদ্যুতের যোগান ছাড়া সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। রামপালে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ কাজ চলছে। এ কেন্দ্র নির্মাণ হলে সুন্দরবন ও আশপাশের প্রতিবেশ-পরিবেশের ক্ষতি হবে বলে বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করছে। ওয়ার্কার্স পার্টি কখনোই সুন্দরবন বা পরিবেশ ধ্বংস করে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ সমর্থন করেনা। তাই উত্থাপিত বিষয় নিস্পত্তি করেই বিদ্যুৎকেন্দ্রের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

    ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সারাবিশ্বে মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ প্রধান শক্র হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, শোষণের যাঁতাকল থেকে শ্রমিক-কৃষকের মুক্তি না হলে সমাজ রাস্ট্রের উন্নয়ন হবে না। পূঁজিবাদী রাষ্ট্র ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র- জনতার অভ্যুত্থান ঘটাতে হবে। বিচ্ছিন্ন বামশক্তি সমুহকে সংকীর্ণতা পরিহার করে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।মেনন সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী ও ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য দলের কর্মীদের প্রতি আহ্বান।

    পার্টির জেলা সম্পাদক হাফিজুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা শেখ সহিদুর রহমান, দীপংকর সাহা দিপু, জেলা সম্পাদক মন্ডলীর নেতা দেলোয়ার উদ্দিন দিলু, মোজ্জাম্মেল হক, অ্যাডভোকেট মিনা মিজানুর রহমান, শেখ মফিদুল ইসলাম প্রমুখ।আগামীকাল শুক্রবার সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে নগরীর বিএমএ মিলনায়তনে কাউন্সিলর অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।