রাজনা হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে নবীগঞ্জ থানা পুলিশের প্রেস ব্রিফিং

0
485

নূরুজ্জামান ফারুকী,বিশেষ প্রতিনিধিঃ নবীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর গৃহবধু রাজনা বেগম হত্যা মামলার প্রধান আসামী মৃতের স্বামী জাকারিয়া আহমদ (২৪) শনিবার বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বিষয়টি নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ওই দিন রাত ৯ টায় থানা প্রাঙ্গনে প্রেস ব্রিফিং করেছেন। প্রেসব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্য রাখেন, বাহুবল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল খয়ের।

এ সময় থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ডালিম আহমদ, ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম, সি (অপারেশন) আব্দুল কাইয়ুম, সেকেন্ড অফিসার এসআই সমিরন দাশ ও তদন্ত কর্মকর্তা এসআই স্বপন সরকার প্রমূখ। লিখিত বক্তব্যে জানান, গত ৩১ জানুয়ারী সন্ধ্যা রাতে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ স্থানীয় রসুলগঞ্জ বাজারস্থ সাহেব আলী চৌধুরীর ভাড়া বাসা থেকে গৃহবধু রাজনা বেগম (২০) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেন।

উক্ত ঘটনায় নিহতের ভাই সুফি মিয়া নবীগঞ্জ থানায় নিহতের স্বামী জাকারিয়াসহ ৫ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ০৪ তারিখ- ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ইং, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী/২০০৩) এর ১১(ক)/৩০। ইতোমধ্যে এই হত্যাকান্ডটি নবীগঞ্জসহ সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এই মামলার মূল রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতারের লক্ষ্যে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৯ এর সহযোগিতায় মামলার প্রধান আসামি নিহতের স্বামী-জাকারিয়া আহমদকে ৪রা ফের্রুয়ারি মুন্সিগঞ্জের সিরাজদীকান থানা এলাকার লতব্দী এলাকা হতে গ্রেফতার করেন। ধৃত জাকারিয়া আহমদ নবীগঞ্জ উপজেলার বড় আলীপুর গ্রামের সবুজ মিয়ার (পালক) ছেলে।
গ্রেফতারকৃত আসামী জাকারিয়া মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে। জাকারিয়া পেশায় একজন অটোরিক্সা চালক এবং নিহত ভিকটিম রাজনা বেগমের সাথে অনুমান ৩ বছরের প্রেমের সম্পর্কের প্রায় ৬ মাস পুর্বে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের সংসারে বিভিন্ন বিষয় নিয়া ঝগড়া বিবাদ লেগে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৩১ জানুয়ারী রাত অনুমান ৮টার সময় নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের রসুলগঞ্জ বাজারস্থ জনৈক সাহেব আলীর ভাড়াটে বাসায় স্বামী জাকারিয়া মিয়া নিহত ভিকটিম রাজনা বেগমের দুই হাত ও দুই পা ওড়না এবং মুখ গামছা দিয়ে বেধেঁ ধারালো বটি দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘরের দরজা বাহির থেকে তালা লাগিয়ে চলে যায়।

গ্রেফতারকৃত জাকারিয়া শনিবার বিকালে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ সুলতান উদ্দিন প্রধান এর কাছে ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। প্রেসব্রিফিংয়ে সার্কেল এসপি আবুল খয়ের সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, অন্যান্য আসামীরা ঘটনার সাথে কতটুকু সম্পৃক্ত তা তদন্ত করে দেখা হবে।