হাজার মাসের চেয়েও উত্তম একটি রাত রয়েছে

    0
    487

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,০৪জুন,সাইফুল ইসলাম রোবায়েতঃ রাসুলে করিম (সল্লাল্লাহুতা’লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমান: হে জনতা, (রমজান) আলীশান মাস। মাসটি বরকতময়ও। এ মাসে হাজার মাসের চেয়েও উত্তম একটি রাত রয়েছে।

    এ মাসে আল্লাহ রোজা ফরজ করেছেন এবং রাতগুলোতে জেগে ইবাদত-বন্দেগী করা ঐচ্ছিক করেছেন। এ মাসে কেউ কোনো ভালো কাজ করে (আল্লাহ ও রাসুলের) নৈকট্য পেতে চাইলে, সে যেনো অন্য মাসের একটি ফরজ আদায় করলো এবং কেউ একটি ফরজ আদায় করলে, সে যেনো অন্য মাসের সত্তরটি ফরজ আদায় করলো! এটি সবুরের মাস।

    আর সবুরের প্রতিদান হচ্ছে, বেহেশত। এটি দান-খয়রাতের মাস। এটি ঈমানদারদের রিজিক বাড়ার মাস। কেউ এ মাসে কোনো রোজাদারকে ইফতার করালে, তার জন্যে গুণাহ-মাফ, দোযখ থেকে তার গর্দানের সুরক্ষা এবং তার (ঐ রোজাদারের) সমান সওয়াব রয়েছে। আর এতে তার (ঐ রোজাদারের) সওয়াবও কমবে না।

    হালাল খাবার ও পানীয় দিয়ে কেউ কোনো রোজাদারকে ইফতার করালে, ফেরেশতারা সারা রমজান মাস ধরে তার জন্যে দোয়া করতে থাকবে এবং কদরের রাতে জিবরাঈলও তার জন্যে দোয়া এবং তার সঙ্গে মুসাফাহা করবে।

    ফলে, তার হৃদয় নরম হয়ে যাবে এবং তার চোখের পানিও বেড়ে যাবে। আমরা (সাহাবীগণ) আরয করলাম: ওগো আল্লাহর রাসূল, রোজাদারকে ইফতার করানোর মতো কিছু তো পাচ্ছি না? তিনি ফরমালেন: কেউ কোনো রোজাদারকে একটু মাঠা বা একটি খেজুর কিংবা একটু পানি দিয়ে ইফতার করালেও আল্লাহ তাকে এ সওয়াব দেবেন। আর কেউ কোনো রোজাদারকে তৃপ্তির সঙ্গে ইফতার করালে বা পানি খাওয়ালে, আল্লাহ তাকে আমার হাউয থেকে এমন শরবত খাওয়াবেন যে, বেহেশতে যাওয়ার আগে সে আর তৃষ্ণার্ত হবে না।

    এ মাসের প্রথমে রহমত, মাঝে মাগফিরাত ও শেষে দোযখ থেকে মুক্তি (-র ব্যবস্থা) রয়েছে। এ মাসে কেউ তার অধীনদের বোঝা হালকা করলে, আল্লাহ তাকে মাফ করে দেবেন এবং দোযখ থেকে রক্ষা করবেন। তোমরা এ মাসে চারটি নেক-কাজ বেশি বেশি করে করবে।

    দু’টি দিয়ে তোমাদের প্রভুকে খুশি করতে পারবে। আর দু’টি ছাড়া তোমাদের উপায় নেই। যে দু’টি দিয়ে তোমাদের প্রভুকে খুশি করতে পারবে – ওগুলো হচ্ছে, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র সাক্ষ্য দেয়া এবং তাঁর কাছে তোমাদের গুণাহের জন্যে মাফ চাওয়া। আর যে দু’টি ছাড়া তোমাদের উপায় নেই – সেগুলো হলো, আল্লাহর কাছে বেহেশত চাবে এবং দোযখ থেকে পানাহ চাবে। (ইবনে খুঝাইমা, তাবারানী, ইবনে হিব্বান ও বায়হাকী)