রবিউল আওয়াল মাসে জগতের কল্যাণ প্রিয় নবী ﷺ র শুভাগমন

    0
    348

    আজ ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈ’দে মিলাদুন্নবী ﷺ । ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এ দিনে আরবের মরুর বুকে শুভাগমন করেছিলো ইসলাম ধর্মের সর্বশেষ নবী, হায়াতুন্নবী হযরত মুহাম্মদ ﷺ এর। সাড়ে ১৪ শত বছর আগে এ দিনে পৃথিবীতে এসেছিলেন বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত, সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মদ ﷺ । অন্যায়, অবিচার, দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে তার আগমন পৃথিবীকে দেয় মুক্তি ও শান্তির সার্বজনীন বার্তা। ৬৩ বছর বয়সে এ দিনেই মহান আল্লাহ্‌র সান্নিধ্যে প্রস্তান করেন তিনি। তাই সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর কাছে দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম।জানা যায় তিনিই একমাত্র নবী যার ইহকালিন ও পরকালিন চাওয়া তার গোনাহগার উম্মাতের মুক্তির জন্য।হায়াতুন্নবী হিসেবে মু’মীনদের কাছে স্বীকৃত নবী যিনি তার রওজা মোবারকে আজও ইয়া রাব্বি হাবলী উম্মাতি বলে কেঁদে যাচ্ছেন।

    দুনিয়ার জমিনে দীর্ঘ ২৩ বছরের প্রকাশ্যে নবুয়তী সংগ্রামের পর মানবজাতির জন্য রেখে গেলেন ঐশীবার্তা মহাগ্রন্থ আল কোরআন ও আহলে বায়াতসহ অসংখ্য উপদেশ ও নিষেধাজ্ঞা। যার মধ্যে রয়েছে মানুষের ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির একমাত্র পথ নির্দেশিকা। মাত্র ৬৩ বছরে পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেও এখনো তার আদর্শে অনুপ্রাণিত পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তর।

    বিশ্ব মুসলমানদের সবচেয়ে বড় তীর্থস্থান মসজিদুল হারাম থেকে সামান্য দূরেই রাসুল ﷺ এর পিতা হজরত আবদুল্লাহর (রাঃ) ঘর অবস্থিত, তিনির আম্মার নাম ছিল হজরত আমিনা (রাঃ)। শিআবে আলীর প্রবেশমুখ হিসেবে পরিচিত জায়গাটি। তৎকালীন সময়ে বনি হাশেম গোত্রের লোকেরা যে জায়গায় বসবাস করতেন সেটিকেই শিআবে আলী বলা হতো। মক্কা শহর  থেকে বহু দূরে মদিনা নামক শহরের পবিত্র স্থান যেটিকে দুনিয়ার জান্নাত বলা হয় সেখানেই তিনি শায়িত।

    অপর দিকে ইতিহাসবিদদের মতে, বাবা হজরত আবদুল্লাহর (রাঃ) যে ঘরে মহানবী ﷺ জন্মগ্রহণ (পৃথিবীতে শুভাগমন) করেছিলেন সেটি এই জায়গাতেই ছিলো। মক্কায় অবস্থানকালীন সময়ে রাসুল ﷺ এ ঘরেই বসবাস করতেন বলে ইতিহাস থেকে জানা যায়। যদিও এ সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য কোনো ঐতিহাসিক তথ্য বা প্রমাণ নেই। তবুও মক্কা নগরীতে এটি রাসুল ﷺ এর পৃথিবীতে শুভাগমন (জন্মস্থান) এর স্থান হিসেবে পরিচিত।

    ওসমানি শাসনামলে এ বাড়িটি মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হত। পরে এখানে একটি লাইব্রেরি স্থাপন করা হয়। সৌদির বিখ্যাত শায়খ আব্বাস কাত্তান ১৩৭১ হিজরিতে ব্যক্তিগত সম্পদ ব্যয় করে এটি নির্মাণ করেন।

    মসজিদুল হারামের নতুন সম্প্রসারণ-কার্যক্রমে এই লাইব্রেরিটি অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়েছে। সম্প্রসারণের নতুন নকশা ও মডেল থেকে যতটুকু জানা যায়, এ স্থানে কোনো স্থাপনা তৈরি না করে খালি ও উন্মুক্ত স্থান হিসেবে রাখা হবে।তবে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে প্রিয় নবীর স্মৃতি ধন্য অনেক স্থান প্রতিকুল রাজনীতির আড়ালে ঢেকে পরে আছে যা পুনরুদ্ধার হয়তো একদিন হবে মহান আল্লাহ্‌র ইচ্ছায় কেবল এর সমাধানের উপায়।