যৌথবাহিনীর উপর হামলা চালালে পাল্টা গুলিতে ৫জন নিহত

    0
    266

    আমারসিলেট24ডটকম,১ডিসেম্বরঃ সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন স্থানে হরতাল অবরোধের নামে নাশকতার দ্বায়ে অভিযুক্ত জামায়াত-শিবির ও বিএনপি কর্মীদের ধরতে রাতভর অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। এ সময় সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫ জন নিহত হয়েছে বলে জানা যায়। নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন-সদর উপজেলার সাতানি গ্রামের আব্দুল আহাদের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (২৭) এবং দেবহাটার পাকিস্তান পাড়ার আবদুর রউফ (৩২) সখিপুরের রিয়াজুল ইসলাম।বাকি দুইজনের পরিচয় জানা যায়নি। নিহত ব্যক্তিরা জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে।

     জানা গেছে, যৌথবাহিনীর পৃথক দল সোমবার  রাত দুইটার দিকে সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় অভিযানে নামে। ভোর সাড়ে চারটার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাড়ি এলাকায় গেলে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা এক জোট হয়ে যৌথবাহিনীর ওপর হামলা চালান। তারা যৌথবাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে বোমা, ককটেল ও ইটপাটকেল ছোড়েন। এ সময় যৌথবাহিনী গুলি ছোড়ে। এতে আগরদাড়ি এলাকার সাতানি গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন (২৫) নিহত হন। তিনি শিবিরের কর্মী বলে জানা গেছে।

    যৌথবাহিনীর অপর একটি দল সদর উপজেলার পদ্মশাঁখরা এলাকায় রাত দুইটার দিকে অভিযানে যায়। সেখানেও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা যৌথবাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা চালান। যৌথবাহিনী পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুললে গুলিতে দুজন নিহত হন। নিহত দুজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

    দেবহাটা উপজেলার সখীপুর এলাকায় রাত চারটার দিকে অভিযানে যায় যৌথবাহিনী। সখীপুর বলফিল্ড এলাকায় পৌঁছলে একই কায়দায় যৌথবাহিনীর ওপর হামলা চালান জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। এ সময় যৌথবাহিনীর গুলিতে পাকিস্তানপাড়ার আবদুর রউফ (৩২) ও রিয়াজুল ইসলাম (৩৫) নিহত হন।

    এদিকে,পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে সকালে সদরের কাথন্ডা এলাকায় সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আব্দুল খালেকের বাড়ি ঘিরে ফেলে। তাকে না পেয়ে তার বাড়িঘর ভাঙচুর করেএবং ১০ লাখ টাকার মালামাল যৌথ বাহিনী নিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ করেছেন জামায়াতের আমির আবদুল খালেকের পরিজন।

    প্রসঙ্গত, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে সাতক্ষীরায় বিভিন্ন ঘটনায় সরকারি দলের ১৪ জনের বেশি নেতাকর্মী নিহত হন। জামায়াত-শিবিরের ভয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। প্রশাসন অনেকটা অসহায় হয়ে পড়ে জামায়াত-শিবিরের নাশকতার কাছে। এই অবস্থায় জামায়াত-শিবির নিয়ন্ত্রণে যৌথ বাহিনীর অভিযানের সিদ্ধান্ত হয়। সোমবার রাত থেকে সেই অভিযান শুরু।