যৌতুক লোভী স্বামীর নির্যাতনের শিকার জুড়ীর গৃহবধু খাদিজা

0
577
যৌতুক লোভী স্বামীর নির্যাতনের শিকার জুড়ীর গৃহবধু খাদিজা

জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের জুড়ীতে যৌতুক লোভী স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন খাদিজা আক্তার (২২)নামে এক গৃহবধু।

তিনি উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম পশ্চিম বাছিরপুর গ্রামের ছিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে। তার স্বামী ফুলতলা ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামের জয়নাল আবেদীদের পুত্র, অটো চালক সুমন উদ্দিন (২৭)। নির্যাতনের শিকার গৃহবধু খাদিজা তার প্রতিকার চেয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ইং তারিখে স্বামী সুমন উদ্দিনের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রিট ৬নং আমল আদালতের ১টি মামলা নং-৯৬/২০২১ দায়ের করেন।
মামলার এজহার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামের জয়নাল আবেদীনের পুত্র সুমন উদ্দিনের সাথে ২ লাখ টাকা দেন মোহরে খাদিজার বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে প্রায় অর্ধবছরাধীকাল তাদের দাম্পত্ত জীবন ভাল চলছিল। এরই মধ্যে বছর শেষে তাদের একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। সে সন্তানের বয়স প্রায় পৌনে ৩ বছর। বর্তমানে গৃহবধু খাদিজা ৭ মাসের গর্ভবতী। বিয়ের ৩ বছরের জীবনে খাদিজার স্বামী সুমন উদ্দিন তার নিকট বার বার যৌতুকের টাকা এনে দিতে বললে খাদিজা তার প্রতিবাদ করায় তার উপর নির্যাতন চালায় সুমন।
এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে আচার বিচারের মাধ্যমে আপোষ মিমাংসা হয়। বিয়ের ২ বছর পর তার স্বামী বেকার থাকায় খাদিজার পিতা ছিদ্দিকুর রহমান মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে সুমনকে ১ লাখ টাকা দিয়ে ১টি অটোরিক্সা ক্রয় করে দেন।
সুমন অটোরিক্সাটি বেশ কিছুদিন চালিয়ে খাদিজা ও তার পিতা-মাতার অজান্তে সেটি বিক্রি করে দেয়। পরে সুমন এলাকার মাদক সেবীদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে এবং মাদক সেবনে অব্যস্থ হয়ে পড়ে। নেশাগ্রস্থ অবস্থায় বাড়িতে ফিরে স্ত্রীর সাথে প্রায় সময় খারাপ ব্যবহার এবং আরো ৩ লাখ টাকা দাবি করে। তার কথা মতো টাকা প্রদান না করায় নেশাগ্রস্থ অবস্থায় তার উপর শারীরিক নির্যাতন চালায়।
বর্তমানে গৃহবধু খাদিজা তার পুত্র সন্তান রমজান আলীকে নিয়ে তার পিত্রালয়ে আছেন। কিন্তু বেশ দিন যাবত খাদিজা ও তার সন্তানের বরণ পোষনের খোঁজ খবর নিচ্ছেন না সুমন। খাদিজার পিতা ছিদ্দিকুর রহমান এক সময় সিএনজি চালিয়ে সংসার চালালেও বর্তমানে তিনি অসুস্থ্যতার কারণে বেকার হয়ে আছেন।
যার ফলে, সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন এবং তার মেয়ে খাদিজার ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন যাপন করছেন অসহায় বাবা।