যুদ্ধাপরাধীদের আলাদা স্থানে দাপন করার দাবী

    0
    234

    আমারসিলেট24ডটকম,০ডিসেম্বরঃ ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহসভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করার পর তাঁর লাশ আলাদা স্থানে কবরস্থ করার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এটা করা না হলে তাঁর কবরকে জামায়াতে ইসলামীর সমর্থকেরা মাজারে পরিণত করবে।

    আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের আদর্শগত ভিত্তি এবং নির্বাচন ২০১৪ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে মুনতাসীর মামুন এ কথা বলেন।

    বক্তব্যে মামুন বলেন, বিজয়ের মাসে আমরা আশা করি যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে। যুদ্ধাপরাধীদের যদি আলাদা স্থানে কবরস্থ করা না হয় তাহলে জামায়াতে ইসলামী ওই কবরকে মাজার বানিয়ে তরুণদের বিভ্রান্ত করবে। তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশকে ভারতের সহায়তার কথা স্মরণ করে বলেন, ভারতের সাহায্য বাংলাদেশের বিজয়কে ত্বরান্বিত করেছিল।

    ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহসভাপতি শহীদজায়া শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী বলেন, মাওলানা আবদুল মান্নানসহ যেসব স্বাধীনতাবিরোধী ইতিমধ্যে মারা গেছেন, ভবিষ্যতে যাঁরা মারা যাবেন বা যাঁদের ফাঁসি হবে তাঁদের সবার লাশ নির্দিষ্ট একটি জায়গায় কবরস্থ করতে হবে। এতে সবাই জায়গাটিকে ঘৃণাসূচক হিসেবে দেখতে পারবে।

    অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ সরন বলেন, বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার ওপর ভারতের স্থিতিশীলতা অনেকাংশে নির্ভর করে বলে ভারত এ দেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়। নির্বাচনই হচ্ছে জনগণের মত প্রকাশের একমাত্র উপায়।

    পঙ্কজ বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ১৯৯১ সালে যুদ্ধ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। ভারত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পছন্দ করে। এ দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হলে নির্বাচন জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

    বাংলাদেশ ভারতের সম্পর্কের বিষয়ে পঙ্কজ বলেন, ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক কারণে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। ভারত বাংলাদেশের উন্নতি চায়। সে লক্ষ্যে ভারত সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। দুই দেশের উন্নয়নের জন্য দুই দেশকে দুই দেশের প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার বলেন, বাংলাদেশের নানা সমস্যা নিয়ে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করে পরামর্শ দেয়, কিন্তু কখনো কোনো কিছুর জন্য  চাপ দেয় না। তিনি একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে ভারতের অবদানের কথা তুলে ধরেন।

    ভারত বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন দেয়। তাদের ভ্রাতৃত্ববোধকে আমরা সম্মান জানাই বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ।সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল ও সাংবাদিক হারুন হাবীব। আলোচনা শেষে শাহরিয়ার কবিরের “দুঃসময়ের বন্ধু” শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।