যানজট-পণ্যজটে স্থবির বেনাপোল আমদানি-রফতানি বাণিজ্য

    0
    593

    বেনাপোল থেকে এম ওসমান: দেশের বৃহত্তর স্থলবন্দর বেনাপোলে ভয়াবহ যানজট দেখা দিয়েছে। টানা তিন দিনের লাগামহীন যানজট ও পণ্যজটে বেনাপোল বন্দর স্থবির হয়ে পড়েছে। আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে নেমে এসেছে অচলাবস্থা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পচনশীল পণ্যসামগ্রী। এতে করে দুর্ভোগে পড়ছেন পথচারীসহ স্থানীয়রা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকছে দূরপাল্লার পরিবহন, পাসপোর্ট যাত্রীসহ পণ্যবোঝাই শত শত  ট্রাক। ঢাকা-কোলকাতা মহাসড়কের বেনাপোলে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে যানজটের। দিন দিন বাড়ছে পণ্য ও যানজট।

    প্রতিবছর স্থলবন্দর বেনাপোল থেকে সরকার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ৬/৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পেলেও বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন তেমন হয়নি। জায়গা শেড ইয়ার্ড সংকট কমেনি। হাজারও ট্রাকের চ্যাচিসসহ আমদানি-রফতানিককৃত পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরের প্রধান সড়কের উপরে রাখায় বাড়ছে যানজট ও পণ্যজট।

    ট্রাকচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাসহ বন্দরের জায়গা স্বল্পতা, এখানে নেই কোন ট্রাফিক ব্যবস্থা, আছে চাঁদা কালেকশনের মহা-ব্যবস্থা। আমরা এইসব থেকে মুক্তি চাই।

    ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাল জানান, সম্প্রতি বেনাপোল বন্দর এলাকা যান ও মানব চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত ভয়াবহ যান ও পণ্যজটের কবলে পড়ে দুর্ভোগ বাড়ছে মানুষের। পাসপোর্ট যাত্রীসহ পথচারী ও বন্দর ব্যবহারকারীরা পড়ছেন বিপাকে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানসহ ব্যবসায়ীরা। পণ্যজটে আটকা পড়ে খালাসে বিলম্ব হওয়ার ফলে লোকশান গুনতে হচ্ছে।

    বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন ও ভারত বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বলেন, জায়গা ও ইকুপমেন্ট সমস্যা দীর্ঘদিনের। বন্দরে কমপক্ষে ৩শ’ একর জমি অধিগ্রহণ করে বাণিজ্যকে গতি ফেরাতে হবে। বেনাপোলে পণ্যজটের কারণে ইতোমধ্যে ব্যবসায়ীরা অন্য বন্দর ব্যবহার করতে শুরু করেছে ।

    বেনাপোল বন্দর পরিচালক আমিনুর রহমান জানান, আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে গতি ফেরাতে ও যানজট নিরসনে কাজ করছেন। দফায় দফায় প্রশাসন ও বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের সাথে বৈঠক করে সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।